ধনকুবের মুসা বিন শমসের ও হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ট্রাস্টির একজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অনুসন্ধান চলছে। বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক এ কথা বলেন।
Advertisement
বুধবার ময়মনসিংহের নয়জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সানাউল হক আরো বলেন, অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করব। এখানে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয় বিবেচ্য হবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধান চলছে অনেক আগে থেকেই। সে বিষয়ে যখন অগ্রগতি হবে, আমরা তখন মামলা রুজু করব।
Advertisement
অনুসন্ধান পর্যায়ে অভিযোগ বইয়ে মুসার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুসন্ধান পর্যায়ে কমপ্লেইন রেজিস্টারে তোলা হয়নি। প্রমাণ পেলে মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোনো ভবিষ্যদ্বাণীও করি না, দূর কল্পনাও করি না। ফ্যাক্টস অনুসারে আগাই। যখন আমাদের কাছে ফ্যাক্টস আসবে, তখনই আমরা আগাবো। এ ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়ার অধিকার আমার নেই। আমরা আরও অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে আছি তার মধ্যে হামদর্দের একজন ট্রাস্টিও আছেন।
উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের ১৯৭০ ও ৮০ এর দশকে আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ফরিদপুরের এই ধনকুবের মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘নুলা মুসা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ। তার ছেলে ববি হাজ্জাজ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের উপদেষ্টা ছিলেন। আর মুসা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিয়াই।
এফএইচ/এআরএস/পিআর
Advertisement