সিলেটের শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ সেনাবাহিনী সফলভাবে শেষ করেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার রাত ৮টায় সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযানের আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করেন সেনা গোয়েন্দা পরিদফতরের পরিচালক ব্রি. জে. ফখরুল আহসান।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়ই সেনাবাহিনী অপারেশন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। অভিযান মূলত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমে গুরুত্ব দেয়া হয় ভবনটিতে আটকা পড়া বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া। দ্বিতীয়টি ছিল জঙ্গিদের নির্মূল করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথম দফার অভিযান খুব কম সময়ের মধ্যে সফল হয়েছি। আতিয়া মহলে আটকাপড়া ২৯টি পরিবারের ৭৮ জনকে কোনো রকম রক্তপাত ছাড়াই দ্রুত সরিয়ে নেই। অথচ এই অভিযানটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু হয় জঙ্গি নির্মূলের সেটাও সেনাবাহিনী তার কোনো ক্ষতি ছাড়াই সফলভাবে শেষ করে।
Advertisement
গত শনিবার থেকে সোমবার বিকেলের মধ্যে ভবনে থাকা সব জঙ্গিদের নির্মূল করা হয়। তবে বিস্ফোরকদ্রব্য অপসারণ করা হয় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিস্ফোরকদ্রব্য অপসারণ করে সেনাবাহিনী পুলিশের কাছে ভবনটি ছেড়ে দিয়ে সেনানিবাসে ফিরে এসেছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, অপারেশন চলাকালে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা ও পেশাদারিত্ব কমান্ডোর জন্য সহায়ক হয়েছে। এজন্য তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ব্রিগেডিয়ার ফখরুল আহসান।
ফখরুল আহসান বলেন, গত সোমবারের মধ্যেই জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করতে সমর্থ হয় ‘অপারেশন টোয়ালাইট’ এ অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা। তবে আতিয়া মহল জুড়ে জঙ্গিরা বিস্ফোরক পেতে রাখায় পুরো ভবনটিই ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা।
Advertisement
গত সোমবার অভিযানের পর থেকে তারা মঙ্গলবার সারাদিন ভবনে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক ও বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। ভবনটিকে ঝুঁকিমুক্ত করে গতকাল বিকেলে তা পুলিশের তত্ত্বাবধানে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
ব্রিফিংকালে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. গোলাম কিবরিয়া, র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ, কমান্ডো ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা লে. কর্নেল ইমরুল কায়েস ও দমকলবাহিনী সিলেটের উপ-পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমএস