এ অঞ্চলের প্রধান নদী পদ্মা। আর পদ্মা নদীকে জড়িয়ে রয়েছে ৬টি জেলা। জীবন জড়িয়ে আছে প্রায় ২ কোটি মানুষের। কিন্তু, বছরের অধিকাংশ সময় পদ্মা নদীতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি না থাকায় দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, পানাসি প্রকল্প, বরেন্দ্র প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের হাজার হাজার একর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হয় না।তবে চলতি বছরের শুরু থেকে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। গত ১ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি চুক্তির ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এই চুক্তি সম্পাদন হয়। পানি স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি পিলারের মধ্যে ১১টি পিলারই শুকনো চরে দণ্ডায়মান থাকে। জেগে ওঠা চরে মানুষ চাষাবাদ করছে। নদীতে মাছ নেই। জেলেরা নৌকা দিয়ে জাল টেনে নিজেদের খাবারের মাছও যোগাড় করতে পারছেনা। এদিকে ফারাক্কার প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের ৫৪টি নদী শুকিয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলো পানি শূন্য হয়ে পড়ছে। অবশ্য পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল হক দাবি করেন, চলতি বছর পদ্মার পানি প্রবাহ অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি।নদী তীরবর্তী সাঁড়া ইউনিয়নের প্রবীণ বাসিন্দা ছানাউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, এখন নদীতে পানি কিছুটা থাকলেও খাল-বিল শুকিয়ে আছে। ফলে এসব খাল-বিলে আগে যে মাছ হতো এখন আর তা হয়না। চাষাবাদে পানি দেয়াও কষ্টকর।এমএএস/বিএ
Advertisement