খেলাধুলা

ফিক্সারদের মৃত্যুদণ্ড চান মিয়াঁদাদ

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় আসর শুরু হওয়ার আগেই ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। পিএসএল শুরু হওয়ার পরপরই প্রকাশ হয়ে পড়ে ফিক্সিংয়ের কালো থাবা বিস্তার করেছে পিএসএলে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫জন ক্রিকেটারকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যার মধ্যে রয়েছেন খালিদ লতিফ, শারজিল খান, শাহজাইব হাসান, মোহাম্মদ ইরফান থেকে শুরু করে জাতীয় দলে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারও।

Advertisement

পিএসএল ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নিয়ে যখন পাকিস্তান ক্রিকেটে তোলপাড় তখন অপরাধীদের শাস্তির ধরন নিয়েও চলছে আলোচনা। পাকিস্তান ক্রিকেটে বড়ে মিয়াঁখ্যাত জাভেদ মিয়াঁদাদ তো সরাসরি দাবি করে বসেছেন, ফিক্সিং যারা করে তাদেরকে যেন মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ ফিক্সিং করতে সাহস পাবে না।

ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট ফিক্সিং যেন পাকিস্তান ক্রিকেটে অনেক বড় বিষফোঁড়া। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তখনকার পাক অধিনায়ক সালমান বাট, দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমির। যাদের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। মোহাম্মদ আমির তো জাতীয় দলেও ফিরেছেন। সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফ রয়েছেন ফেরার অপেক্ষায়।

এরই মধ্যে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ পিএসএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে আরেকবার কেঁপে উঠলো পুরো পাকিস্তান ক্রিকেট। সাময়িকভাবে পাঁচ ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের শাস্তির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ট্রাইবুন্যাল গঠন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। শুধু ওই পাঁচ ক্রিকেটারই, নাকি আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত কিংবা এর পেছনে গডফাদার কারা, সেটাই খুঁজে বের করার দায়িত্ব এই ট্রাইব্যুনালের।

Advertisement

তার আড়ে ৫৯ বছর বয়সী জাভেদ মিয়াঁদাদ বললেন, ক্রিকেট হচ্ছে ভদ্রলোকের খেলা। এখানে কোনো দুর্নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং, যারা ফিক্সিং করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে পিসিবির উচিৎ একটা উদাহরণ সৃষ্টি করা। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’ক্রিকেটে দুর্নীতি দমন করার জন্য পিসিবির আরও কঠোর হওয়া উচিৎ মন্তব্য করে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ফিক্সিং বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে।’ পিসিবির প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘কেন আপনারা কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারছেন না? আপনাদের উচিত ফিক্সারদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা। আমাদেরকে কোনোভাবেই আর ফিক্সিং বিষয়টা সহ্য করা ঠিক না।’

পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি আবদুল কাদির তো সরাসরিই জানিয়ে দিলেন, ‘ফিক্সারদের ফাঁশিতে ঝোলানো উচিত’। পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক বলেছেন, ‘ফিক্সারদেরকে কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নয়, বরং আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিত।’

আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement