অর্থনীতি

ডিএসই’র পরিচালক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দুই শেয়ারহোল্ডার পরিচালক পদে নির্বাচনে   ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৪৫ জন।

Advertisement

দুই পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সার সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান, র্যাপিড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হানিফ ভূইয়া, ধানমন্ডি সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান খান এবং কান্ট্রি স্টকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা আসিফ আহমেদ।

এদের মধ্যে খাজা আসিফ আহমেদ এবার প্রথম ডিএসই’র কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর শরীফ আতাউর রহমান, মো. হানিফ ভূইয়া ও মো. মিজানুর রহমান ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের আগে ডিএসই’র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুস সামাদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হারুন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুন-উর-রশিদ এবং এম অ্যান্ড জেড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মনজুর উদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

এই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার ও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। তাদের ধারণা, যেই নির্বাচিত হোক না কেন ভোটের ব্যবধান খুব বেশি হবে না।

শরীফ আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চারজনই পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য। আমি মনে করি কোনো প্রার্থীই কারও থেকে পিছিয়ে নেই। আমি আগেও একাধিকবার পর্ষদে ছিলাম। এবারও ভোটাররা চাইলে আসবো। আর পরিচালক নির্বাচিত হলে ডিএসই ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে সামর্থ অনুযায়ী কাজ করবো।

মো. হানিফ ভূইয়া জাগো নিউজকে বলেন, আমি মনে করি চার প্রার্থীর সবাই জয়ী হওয়ার উপযুক্ত। কাউকে আমি ছোটো করে দেখি না। তবে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এর আগেও আমি ডিএসইর পরিচালক হিসেবে ছিলাম। আমি ডিএসই ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে কিছু করতে চাই।

খাজা আসিফ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমি পুঁজিবজারের জন্য কিছু করতে চাই। সেই আশা থেকেই এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী, বাকিটা শেয়ারহোল্ডারাই নির্ধারণ করবে।

Advertisement

তিনি বলেন, ডিএসই’র নির্বাচন সব সময় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি আশাবাদী এবারও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদে মোট ১৩ সদস্য থাকেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র পরিচালক ৭ জন। আর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক থাকবেন ৪ জন। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একজন কৌশলগত বিনিয়োগকারী পরিচালক।

শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন। কারও মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শূন্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠি হয়।

এমএএস/কেএ/এনএফ/জেআইএম