আন্তর্জাতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পেপ্যালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ লেনদেনের জন্যে অনুমোদন পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় পলিসি বিভাগ সোমবার সোনালী ব্যাংককে এ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোনালী ব্যাংকের ফরেন রেমিটেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার নওয়াব হোসেন বলেন, আমরা সবেমাত্র অনুমতিপত্রটি পেয়েছি। এখন সেবাটি চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মধ্যে পে-প্যালের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও রয়েছে।
তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক শিগগিরই পেপ্যালের সঙ্গে চুক্তি করবে। এরপর যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে অর্থ লেনদেন শুরু হবে।
Advertisement
পেপ্যালের সঙ্গে আগেও একটি চুক্তি হয়েছে জানিয়ে ব্যাংকটির এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করা আছে। এখন আমরা এ কাজের জন্যে সফটওয়্যার উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে কাজ করবো। আশা করছি শিগগিরই ভালো খবর আসছে।
অনলাইনের এ সেবা চালু হলে অর্থ লেনদেনে দেশে নতুনমাত্রা যোগ হবে। যা ব্যবসায়ীদের লেনদেন ও প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ঝামেলা কমবে।
এ বিষয়ে নওয়াব হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আবার ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশ থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা নিয়ে আসছে।
‘কিন্তু পেপ্যাল চালু হওয়ার পর বিদেশ থেকে রেমিটেন্স ও ফ্রিল্যান্সারদের টাকা আরও দ্রুত আনা সম্ভব হবে। প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ’- যোগ করেন তিনি।
Advertisement
এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে পেপ্যালের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ওই সময় তিনি সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই সময় পলক লেখেন, ‘আমরা ক্যালিফোর্নিয়াতে পেপ্যালের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। যা খুবই ইতিবাচক। শিগগিরই এ সংক্রান্ত একটি সুসংবাদ সবাইকে দিতে পারবো।’
ওই মিটিংয়ের পর পেপ্যালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘জুম’ বাংলাদেশে কার্যক্রম চালায়। যা এখনও অব্যাহত আছে।
পেপ্যাল একটি আন্তর্জাতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, যারা অর্থ লেনদেন বা স্থানান্তরে কাজ করে থাকে। অনলাইনে অর্থ আদান-প্রদানের এ পদ্ধতি গতানুগতিক লেনদেন বিশেষ করে চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বর্তমানে বিশ্বের ১৯৩টি দেশে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালোফোর্নিয়াভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি। এটি ২৬টি মুদ্রায় গ্রাহকদের অর্থ পাঠাতে, গ্রহণ করতে ও অর্থ সংরক্ষণ করার সুযোগ দিচ্ছে।
পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ইলেকট্রনিক ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হয়। এ পদ্ধতিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহক পেপ্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে চেকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিজের পেপ্যাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন ছাড়াও অর্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারেন গ্রাহকরা। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
এমএমএ/এমএআর/আরআইপি