মুখরোচক কথাটা শুনলেই মাথায় আসে খাবারের কথা। পছন্দের খাবার খেতে কে না ভালোবাসে। সবারই কম বেশি নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি দুর্বলতা থাকে। কিন্তু এরও ব্যত্রিক্রম আছে। আর তারা হচ্ছে কোমলমতি শিশু। এদের খাবারের বেলায় অভিভাবকদের পোহাতে হয় নানা কষ্ট। শিশুর পছন্দের খাবার যে কোনটা তা শিশু নিজেই জানে না। তাই তার মন আর সপ্তাহের খাবারের তালিকার ওপর নির্ভর করে খাবার তৈরি করতে হয়। শীতের শেষে আর গরমের শুরুর এই সময়ে শিশুকে পুষ্টিকর আর তার সাথে সাথে মুখরোচক করে তৈরি খাবার তৈরি করে দিতে আপনাকে নানা জায়গায় খুঁজতে হবে নানাকিছু। তবে শিশুকে যাই খাওয়ান তাতে যেন সে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল পায় তার দিকে খেয়াল রাখুন।শিশু কত বছর বয়সের তার উপরও নির্ভর করে তার খাবার। দুই বছর থেকে পাঁচবছর- এই বয়সে শিশুরা বেশি দুরন্ত ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই সময় তাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের খাবারের পাশাপাশি বারবার তাদের ফলের রস, স্যালাইন ও গ্লুকোজ দিতে হবে।দুধ ও ডিমের পাশাপাশি ফল খেতে দিতে হবে। এছাড়া তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি রাখতে হবে।প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেলে একঘেয়েমি আসতে পারে আর এতে শিশুর খাওয়ায় অরুচিও আসতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবারের বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। এজন্য সবজিকাটা ও রান্নার পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে।শিশুদের ‘ফিঙ্গার ফুড’ যেমন- গাজরের টুকরা, মটরশুঁটি, গোল করে কাটা আলু ইত্যাদি খেতে দিতে হবে। এতে করে শিশুর হাতে তুলে খাওয়ার অভ্যাস হবে ও খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।গরমে শিশুর সঠিক যত্নের জন্য তাকে নিয়মিত গোসল, খাওয়া ও ঘুমানো প্রতিটি কাজ করতে হবে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী। যতটা সম্ভব শিশুদের ভাজাপোড়া ও তেল চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়াতে হবে।এইচএন/পিআর
Advertisement