নারায়ণগঞ্জে চতুর্থ স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শকে (এএসআই) হাজ্জাজুর রহমান সুমনের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভুইয়া বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে এ রায় দেন।সাজাপ্রাপ্ত হাজ্জাজুর রহমান সুমন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার খেরুপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার ও খুলনা জেলায় কর্মরত ছিলেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাজ্জাজুর রহমান সুমন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার থানায় কর্মরত থাকাকালীন ২০১৪ সালে ৩০ এপ্রিল ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকার মমতাজ উদ্দিনের মেয়ে হাজেরা আক্তার মুক্তাকে পূর্বের বিয়ের খবর গোপন রেখে বিয়ে করেন। এরপর মুক্তার সঙ্গে নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করেন। তাকে ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো হুমকি দিয়ে যৌতুক দাবি করেন। ২০১৫ সালে হাজ্জাজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন স্ত্রী হাজেরা আক্তার মুক্তা। এরমধ্যে স্ত্রীর অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় সুমন বরখাস্ত হয়ে খুলনা জেলা পুলিশ লাইনে ছিলেন।হাজেরা আক্তার মুক্তা জানান, সুমনের সঙ্গে পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পূর্বের বিয়ের ঘটনা গোপন রেখে সুমন মুক্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তার পরে মুক্তা জানতে পারেন তাকে ছাড়াও সুমন আরো তিনটি বিয়ে করেছে। সুমন এর আগে হরিরামপুরের রুমা, ময়মনসিংহের জুমা ও সাভারের মুহনীকে বিয়ে করে যৌতুক না পেয়ে তালাক দেন। পূর্বের স্ত্রীর সংবাদ না জেনে তিনি সুমনকে বিয়ে করেছিলেন। যৌতুক লোভী সুমনের সাজা হওয়ায় মুক্তা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। শাহাদাত হোসেন/আরএআর/আরআইপি
Advertisement