মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে জন্ম নেয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে এলাকার কোনো কিছুই অচেনা নয়। তবে রাষ্ট্রের শীর্ষপদে থাকার কারণে কিছুতেই খোলা হাওয়ায় ঘুরে বেড়ানো সম্ভব হয়ে উঠে না তার। তবু সামান্য সুযোগ পেলেই এলাকায় মুক্ত হাওয়ায় কিছুটা সময় কাটাতে চান রাষ্ট্রপতি। হাওরের সফরের বিভিন্ন সময় তিনি কখনও ভটভটি, কখনও অটোরিকশা কখনও বা রিকশা ভ্রমণ করেন। রোববার বেলা দেড়টার দিকে রিকশায় মিঠামইন বাজার ও বাজারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তাকে একনজর দেখার জন্য দুই পাশে জড়ো হয় এলাকার মানুষ। তারা রাষ্ট্রপতিকে সালাম জানান। এসময় হাসিমুখে লোকজনকে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। চারদিনের সরকারি সফরে রোববার কিশোরগঞ্জে আসেন রাষ্ট্রপতি। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি মিঠামইন হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এরপর মিঠামইন জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আবদুল হাই, রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।এর আগে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত তমিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। বিকেলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে সুধী সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। এরপর নিজ বাড়িতে রাতযাপন করবেন তিনি।সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ইটনা উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ও মহেশচন্দ্র বিদ্যানিকেতন পরিদর্শন করবেন তিনি। এরপর নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত সরকারি আবদুল হামিদ কলেজের ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। মঙ্গলবার অষ্টগ্রামে যাবেন রাষ্ট্রপতি। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে অষ্টগ্রাম রোটারি ডিগ্রি কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি। পরে সুধী সমাবেশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। রাতযাপন করবেন অষ্টগ্রাম জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয়। সফরের শেষ দিন ১৫ মার্চ অষ্টগ্রাম উপজেলার সড়ক ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। নূর মোহাম্মদ/এআরএ/আরআইপি
Advertisement