অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহে অলস টাকার পরিমাণ তিন হাজার ৯১৯ কোটি টাকা। স্থিতির ওপর ব্যাংকগুলো কোনো সুদ প্রাপ্ত হয় না বিধায় এই পরিমাণ অর্থকে অলস অর্থ হিসেবে বিবেচনা করা যায়, যদিও ৫৭টি ব্যাংকের মোট আমানত বিবেচনায় এ অর্থ অস্বাভাবিক নয়।শনিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (শাওন) এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা ১১ মিনিটে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।অর্থমন্ত্রী জানান, অলস টাকা কাজে লাগাতে এবং ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঋণের সুদের হার হ্রাসের মাধ্যমে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর (ফেনী-২) অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্যাংকিং খাতে মোট বিনিয়োগ বা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা।যা ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ৭ বছরের ব্যবধানে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৭১ শতাংশ। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সব টাকা বিনিয়োগ (ঋণ) হিসেবে বিতরণ সম্ভব নয়। দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন, আমানতকারীদের নগদ অর্থের চাহিদা পূরণ এবং লাভজনক নতুন বিনিয়োগের জন্য কিছু নগদ অর্থ সবসময় ব্যাংকের হাতে এবং আইনগত বাধ্যবাধকতা তথা সিআরআর পরিপালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গচ্ছিত থাকে। এইচএস/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement