সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালত পরিবর্তন করা হয়েছে। মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৫ মার্চ ওই আদালতে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করবেন আইনজীবীরা।বুধবার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে দেশে বিদেশে আলোচিত এই মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য ছিল। তবে আজ দুপুরে আদালতে শুনানির শুরুতে বাদী ও রাষ্ট্রাপক্ষের ৩৪৭ ধারার আওতায় আইনজীবীরা বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চান। এর জবাবে আদালত বলেন, তিনি আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারেন না। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি প্রেরণের নির্দেশ দেন মুখ্য মহানগর হাকিম।এ বিষয়ে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান জানান, আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে মামলাটির কার্যক্রম মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে মামলার বাকি কার্যক্রম মহানগর দায়রা জজ আদালতে সম্পন্ন হবে।দুপুর ১২টার দিকে আদালতে হাজির করা হয় মামলার একমাত্র আসামি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুলকে।এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আদালতে সাক্ষ্য দেন হামলার শিকার খাদিজা বেগম নার্গিস। মামলায় মোট ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জন সাক্ষ্য দেন।রোববার সাক্ষ্য প্রদানকালে খাদিজা আদালতকে বলেন, আমার শরীরের যে যে স্থানে আসামি আঘাত করেছে, সেসব জায়গায় দাঁগ আছে। সে আমাকে সারা জীবনের জন্য প্রতিবন্ধী করেছে। আমি আসামি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমি বিচার চাই। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাভার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে নিজ বাড়ি সিলেটের আউশায় ফিরেন শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চা-পাতির আঘাতে গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় বদরুল আলমের হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কয়ারে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর খাদিজাকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়। খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার মামায় বদরুল এখন কারাগারে রয়েছেন। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর
Advertisement