দেশজুড়ে

গাইবান্ধার সাবেক এমপি কাদের খান গ্রেফতার

অবশেষে গাইবান্ধা-১ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তরের খবর পত্রিকার প্রকাশক কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খানকে বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বগুড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় শহরের রহমান নগর এলাকায় তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের সময় সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা। এর আগে টানা ৬ দিন কাদের খানকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এ সময় তিনি স্ত্রী ডা. এজেড ইউ নাসিমা খানমের মালিকানাধীন গরীব শাহ ক্লিনিকের ৪র্থ তলায় বাস ভবনে ছিলেন। ডা. কাদের খান গত বুধবার গাইবান্ধা থেকে বগুড়ার বাসায় আসেন। এরপর দিন সকাল থেকেই তার বাসা এবং ক্লিনিকের সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়। শনিবার রাতে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও-১ মাহবুব হোসেন ও বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি এমদাদ হোসেন কাদের খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে চান তিনি গাইবান্ধা-১ আসনে আসন্ন উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পরেও তা দাখিল করবেন না তিনি।মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে মাইক্রোবাসে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা বগুড়ায় রহমান নগর এলাকায় কাদের খানের বাসায় আসে। তারা কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে উপরে উঠে যান। ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের দলটি কাদের খানকে সঙ্গে নিয়ে মাইক্রোবাসে উঠে চলে যায়।দৈনিক উত্তরের খবর পত্রিকার সম্পাদক আব্দুস সালাম বাবু জানান, কাদের খানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে কোনো বক্তব্য দেননি তারা।সুন্দরগঞ্জের ছাপোড়হাটি গ্রামের কাদের পেশায় চিকিৎসক। তার স্ত্রী নাছিমা বেগমও একই পেশার। বগুড়ায় এই চিকিৎসক দম্পতির বাসায়ই গড়ে তোলা হয়েছে ‘গরীব শাহ ক্লিনিক’।পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে কাদেরের বগুড়া শহরের বাড়ি ঘিরে রাখে। প্রথম দিকে এ নিয়ে কিছু না বললেও পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় তাকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।   পুলিশের বিশেষ শাখার গাইবান্ধার ওসি মাহবুবুল আলম মঙ্গলবার বলেন, সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গাইবান্ধা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে তার দুইজন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।কাদের খানের স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলাম ও সদর থানার ওসি এমদাদুলসহ অন্তত ৩০ জন পুলিশ বিকালে কর্নেল কাদেরকে ধরে নিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো পরোয়ানা দেখাতে পারেননি। বরং বলছেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিকে কর্নেল কাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের আরও একটি দল তার বাড়ি তল্লাশি শুরু করে।লিমন বাসার/এএম/আরআইপি

Advertisement