‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’- কথাটা যেন শতভাগ প্রমাণিত হলো ৩৬ বছর বয়সী কেভিন পিটারসেনের ক্ষেত্রে। লাহোর কান্দার্সের ছুড়ে দেয়া ২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ইংলিশ এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটে ভর করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কোয়েটা পেয়েছে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে লাহোর কান্দার্স। জবাবে ১৮.৫ ওভারে (৭ বল হাতে রেখেই) ৫ উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে কোয়েটা।লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কোয়েটার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না কোয়েটার। দলীয় ১৩ রানের মাথায় সাদ নাসিমকে (৫) হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। দলীয় ২৪ রানে সাজঘরে ফেরেন অপর ওপেনার আহমেদ শেহজাদও (১৫)। তবে তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় কোয়েটা। এই উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন কেভিন পিটারসেন ও রিলে রুশো। ১৮ বলে ৩টি চার ও দুটি ছ্ক্কায় ৩৩ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের শিকার হন রুশো। পিটারসেন দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। খেলেছেন ৮৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার ৪২ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ তিনটি চার ও ৮টি ছক্কায়। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ২৫ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪৫ রান করে সোহেল তানভীরের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। আনোয়ার আলি অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। ব্যাট ধরার প্রয়োজন হয়নি মাহমুদউল্লাহর। লাহোরের পক্ষে দুটি করে উইকেট দখলে নেন সোহেল তানভীর ও মোহাম্মদ ইরফান। ডেলপোর্ট নিয়েছেন বাকি উইকেটটি।এর টস হেরে ব্যাট করতে নামা লাহোরকে শুভসূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও ফাখর জামান। দুজনে মিলে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। জুলফিকর বাবরের শিকার হওয়া ফাখর জামান করেন ৪৭ রান। তার ৩১ বলের ইনিংসটি সাজানো ৬টি চার ও একটি ছয়ে। জেসন রয় সাজঘরে ফিরেছেন ফিফটি তুলে নিয়েই। হাসান খানের বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ২৭ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইংলিশ এই ওপেনার। তিনে ব্যাট করতে নামা উমর আকমল ১৩ রান করেই হাসান খানের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন। লাহোরের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ডেলপোর্ট। ২৮ বলে একটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৬* রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। ২১ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৫* রান আসে ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে। ব্যাট করতে নামেননি দলীয় অধিনায়ক ম্যাককালাম।২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মাহমুদউল্লাহ। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন হাসান খান। একটি উইকেট পকেটে পুরেছেন জুলফিকর বাবর।এনইউ/জেআইএম
Advertisement