নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে রেল গেইটে রেল ও সড়কের পারাপার ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং উন্নতি করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের জন্য প্রস্তাবিত রেল ক্রসিং পুনর্বাসন প্রকল্পের অধিনে ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা গৃহীত হয়েছে। বৃহৎ পরিসরে রেল ক্রসিং-এ উন্নতি সাধন করে রেল যাত্রীদের সময়ের অপচয় কমিয়ে আনা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) আফজাল হোসেন জানান, এতে ৩২৬টিরও বেশি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ, পুনর্বাসন এবং প্রয়োজনীয় গেট কিপার নেয়া হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে লেভেল ক্রসিং-এ দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের অধীনে ৯৭৮টি লেভেল ক্রসিং-এর মধ্যে ৭৫৭টিতে গেট কিপার ছাড়া রেল আসা যাওয়া করছে। এছাড়া, গেট কিপার হিসেবে রেলওয়ের শুধুমাত্র ১৮৯ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছে, বাকি ১২২ জন অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৫০টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করে থাকে।অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত কয়েকজন গেট কিপার জানান, রেলওয়ের গেট কিপারের কাজে ঝুঁকি বেশী, মজুরি কম। বিভিন্ন সময় যাত্রীবাহী অথবা মালবাহী ট্রেন পারাপারের সময় অসর্তক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা ঘটলে শাস্তির ভয় আছে।প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, এই জোনের রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা প্রশাসনিক বিভাগে ২৭১টি অননুমোদিত লেভেল ক্রসিং আছে।গত বছর ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার রেল ক্রসিং-এ খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে একটি বিয়ের গাড়ির সংঘর্ষ হলে ১১ জন নিহত ও ৫৬ জন আহত হয়েছিল।বিভাগীয় প্রকৌশলী -১ পাকশী, মাসুদুর রহমান জানান, বারোবাজার রেল ক্রসিং-এ অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত গেট কিপার ছিল। কিন্তু তিনি ট্রেন আগমনের সংকেত দেয়ার বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন না।আফজাল হোসেন বলেন, রেল ক্রসিং খুবই সংবেদনশীল এবং রেলওয়ের কাজের জন্য গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। নিরাপত্তার স্বার্থে দুর্ঘটনা রোধে কঠোর আইন করা দরকার।দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমাতে জুরুরি ভিত্তিতে অননুমোদিত লেভেল ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।আরএস
Advertisement