রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুমিনের প্রতি অপর মুমিনের ছয়টি হক রয়েছে। ছয়টি হকের মধ্যে একটি হলো- যদি কারো কোনো প্রতিবেশি মারা যায়, তবে তাঁর জানাযায় উপস্থিত হওয়া।জানাযায় উপস্থিত হওয়া যদিও প্রতিবেশির পরস্পরের অধিকার। অধিকার আদায়ে কেউ জানাযায় অংশগ্রহণ করলে তাঁর জন্য রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের অনেক উপকারিতা। জানাযায় উপস্থিত হওয়ার ফলে মানুষ যখন মৃত ব্যক্তিকে দেখবে, তখন দুনিয়ার অন্যায় ও মন্দ কাজের চিন্তা ওই ব্যক্তি মাঝে কাজ করবে না।আর যারা জানাযায় উপস্থিত হবে, তাদের জন্য রয়েছে এক কিরাত ছাওয়াব। আর যারা দাফনের জন্য কবর পর্যন্ত যাবে, তাদের জন্য রয়েছে দুই কিরাত ছাওয়াব। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে বর্ণনা করেন-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত মুসলিম ব্যক্তির জানাযায় ঈমান সহকারে ও ছাওয়াবের আশায় শরিক হয় এবং জানাযা ও দাফন পর্যন্ত থাকে, ওই ব্যক্তি দুই কিরাত নেকি পাবে। আর প্রতি কিরাত হচ্ছে ওহুদ পাহাড়ের সমান। আর জানাযা পড়ে দাফনের পূর্বে ফিরে যাবে সে এক কিরাত নেকি নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। (বুখারি, মুসলিম)পরিশেষে...যখনই আমাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশির মৃত্যুবরণ করবে, হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী সবার উচিত জানাযায় অংশগ্রহণ করা। সময় এবং সুযোগ থাকলে জানাযার নামাজের পর মৃত ব্যক্তিকে দাফন পর্যন্ত কবরস্থানে অপেক্ষা করে দুই কিরাত নেকি লাভ করার সুযোগ গ্রহণ করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত ছাওয়াব লাভে জানাযায় অংশগ্রহণ এবং দাফন পর্যন্ত থেকে মৃতব্যক্তির জন্য দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement