আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী

লিবিয়ায় জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিদলে ফিলিস্তিনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরাস।কিন্তু সাবেক ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন মিত্র ইসরায়েলের সমর্থনের জন্য এটি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালেই বলেছেন, ফিলিস্তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়েদকে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরাস যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে হতাশ তার দেশ। ফায়াদ ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে ফায়াদের প্রার্থীতা আটকে গেছে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের একটি যুক্তরাষ্ট্র।  হ্যালেই বলেছেন, আমাদের মিত্র ইসরায়েলের ক্ষতি করতেই জাতিসংঘ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। মিত্রদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র শুধু বুলি আওড়াবে না পদক্ষেপও নেবে।নিউ ইয়র্ক থেকে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিনিধি রোসিল্যান্ড জর্দান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূতের কঠোর বিবৃতি অনেককেই বিস্মিত করেছে। ‘জাতিসংঘের অনেক কূটনীতিকের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ফায়াদ। আর এই দিক থেকে অ্যান্টনিও গুটেরাসের কাছে থেকে এ ধরনের চিঠি আসবে এটিই স্বাভাবিক; অানুষ্ঠানিকতা ছাড়া কিছু নয়। আগামী সপ্তাহে তাকে নিয়োগের ঘোষণা আসতে পারে।’জাতিসংঘের সদস্য নয় এমন পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের একটি ফিলিস্তিন। সংস্থাটির ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৭ দেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।এদিকে, ফায়াদের নিয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি ও অবস্থানকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য হাসান আশরাভি। তিনি বলেছেন, হ্যালির বিবৃতি পুরোপুরি হাস্যকর। ফায়াদকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো যুক্তি নেই। এসআইএস/জেআইএম

Advertisement