বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে সফলতার সঙ্গে সব কাজ শেষ করেছি। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষমতারও প্রমাণ দিয়েছি।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ করার পর বুধবার বেলা ৩টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ ও জাবেদ আলী। তারা ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ। তিনি ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন। ফলে তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বপদে থাকছেন। কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছি। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে একদিকে একটি বড় রাজনৈতিক দলসহ কয়েকটি দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চলছিল। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের সামনে ছিল যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। এ কঠিন পরিস্থিতিতে দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প ছিল না।উত্তপ্ত ও সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে কমিশন ১৪৭টি এলাকায় নির্বাচন করেছে। ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাই এবং বিভিন্ন সহিংস ঘটনার কারণে কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলেও জানান তিনি। প্রথমবারের মতো দলীয় সরকার বিদ্যমান থাকা অবস্থায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। ওই সময় উদ্ভূত রাজনৈতিক সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে সাংবিধানিক সংকট থেকে উত্তরণে এ নির্বাচন একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্তের পর নির্বাচিত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক এবং আন্তর্জাতিক মহলেও আগ্রহ ছিল ব্যাপক। নির্বাচন কমিশন সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে বলে মনে করে।নির্বাচনে দেড় শতাধিক এমপি বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার বিষয়টি আইনেই আছে। মাঠ ছেড়ে দিলে তো প্রতিপক্ষ গোল দেবেই। এটা রাজনীতির খেলা। উন্নত বিশ্বে এর চেয়ে অনেক বেশি বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার রেকর্ড আছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা খারাপ হয়ে গেছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুর্বল অবস্থায় নিয়ে যাইনি। দেশে কথায় কথায় মারামারি বেড়েছে। এটা এক ধরনের সামাজিক অবক্ষয়। এফএইচ/এএইচ/আরআইপি/জেআইএম
Advertisement