আগামীতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করবে। তাই পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) নয় এখন জিএসপি প্লাসের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা নিয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালা উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস অর্জনে বেশকিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। ইতোমধ্যে শ্রমিকদের অধিকার, কমপ্লায়েন্স (কারখানার নিরাপত্তা ও উন্নত কর্মপরিবেশ) নিশ্চিতে আমাদের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। অন্য শর্তগুলো পূরণেও কাজ শুরু করেছি। আশা করছি যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে আমরা জিএসপি প্লাস অর্জন করতে পারবো।জানা গেছে, জিএসপি প্লাস অর্জন করতে ২৭টি শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সুশাসন বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের অধিকার এবং কমপ্লায়েন্স (কারখানার নিরাপত্তা ও উন্নত কর্মপরিবেশ) নিশ্চিত করা। কর্মশালায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে নতুন যে জিএসপি পলিসি করবে সেটা নিয়েই আজকের কর্মশালা। নতুন পলিসি আমাদের মতো দেশের আর্থিক, সামাজিক, শ্রমিক অধিকার এবং পরিবেশের ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলবে তা আজকের আলোচনার মূল উদ্দেশ্য।তিনি জানান, বাংলাদেশ যখন এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে বের হয়ে যাবে তখন আমরা ইবিএ (এভরিথিং বাট আরর্ম) সুবিধা পাবো না। তখন আমাদের জিএসপি প্লাসের মধ্যে যেতে হবে। আমাদের হিসাব মতে, এখানে যেতে এখনও অনেক সময় আছে। তবে আমাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে দু’ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতের বাইরে এ সুযোগটা আমরা খুব কমই নিতে পেরেছি। তাই সরবরাহ, রফতানি এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়ে আরও কীভাবে পোশাক খাত এবং এর বাইরে এই সুবিধাটা নিতে পারি সেটা দেখতে হবে।বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, ইইউতে তিন ধরনের বাজার সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে এলডিসিভুক্ত দেশগুলো পায় ইবিএ সুবিধা। অর্থাৎ অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা। দ্বিতীয়টি হলো স্টান্ডার্ড জিএসপি। যেখানে কিছু পণ্য কম ডিউটি সুবিধা পাবে আর কিছু পণ্যে ডিউটি দিতে হবে। তৃতীয়টি হলো জিএসপি প্লাস। যেখানে ইতোমধ্যে পাকিস্তান, বলিভিয়াসহ ৮টি দেশ প্রবেশ করেছে। এখানে যেতে হলে আমাদের ২৭টি শর্ত পূরণ করতে হবে।দিনব্যাপী কর্মশালায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই পিয়েরে মায়াদুন, ইউরোপিয়ান কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ফর ট্রেড ডেনিয়েল ক্রামার, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরুহা সুলতানাসহ অন্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।এসআই/এমএমজেড/আরআইপি
Advertisement