আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ নেয়া হয়েছে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। রোববার দুপুর ১২টার কিছু আগে তার মরদেহ এই মন্দিরে নেয়া হয়েছে। রোববার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এরপর সকাল ৯টায় জিগাতলার বাসায় নেয়া হয় তার মরদেহ। দুপুর ১২টার কিছু আগে সেখান থেকে তার মরদেহ নেয়া হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সোমবার বেলা ১১টায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ তার নিজ জেলা সুনামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। এ দিন দুপুর ১টায় তার নির্বাচনী এলাকা শাল্লা এবং বিকেল ৩টায় দিরাই উপজেলায় সাধারণ মানুষ তাদের নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। দিরাইয়ে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৫ মে। সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে তার জন্ম। ছাত্র জীবনেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। হাওরাঞ্চলের ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলনে দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।প্রবীণ এ পার্লামেন্টারিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।নব্বই দশকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও একতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হন। যদিও সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদে রাখেন।
Advertisement
এর আগে ১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদে সব সময় সরব এ সংসদ সদস্য একজন অভিজ্ঞ সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।এইউএ/এনএফ/আরআইপি