আইন-আদালত

নির্দেশনা সত্ত্বেও বুধবার আদালতে যাবেন না খালেদা

নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আগামীকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তিনি বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিত হবেন না।এর আগে গত ৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও নাশকতার ৯টিসহ মোট ১০টি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।খালেদার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দারুস সালাম থানার নাশতার ৮ মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা।রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তিনি।২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ১২৩ এর ‘ক’, ১২৪ এর ‘ক’ ও ৫০৫ ধারায় পিটিশন মামলা করেন। ৩ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল এ মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।জেএ/আরএস/আরআইপি

Advertisement