একুশে বইমেলা

ব্যাটারি-চালিত ইচ্ছা থেকে চারটি কবিতা

কবি জাহিদ সোহাগ বরাবরই ব্যতিক্রম চিন্তার মানুষ। তার সেই ব্যতিক্রমি চিন্তার ছাপ পড়ে কবিতায়ও। ‘অসুখের শিরোনাম’র পর এবার ‘ব্যাটারি-চালিত ইচ্ছা’র আত্মপ্রকাশ। চলমান সৃষ্টির বর্তমান উপস্থিতি এই কাব্যগ্রন্থ। এবারের বইমেলায় হাজির হচ্ছে ‘ব্যাটারি-চালিত ইচ্ছা’। বইটি থেকে চারটি কবিতা পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো-বীজহাওয়া আসে ঘরে। ভেতরে একটি ঊনমানুষ। আমাদের দেখাশেষ তারাটি, খুব ক্ষীণ, ক্ষীণতর হতে হতে, মিলিয়ে যাবে।কত বিচিত্র জীবন। দোয়াত উল্টে গেলো। এখন ঘর। শূন্য ঘর। শূন্য ঘর থেকে, ওই তারাটি দ্যাখো। হাওয়া আসে ঘরে। ওপারে আকাশ, কলকব্জা খুলে খুলে পড়ছে।বর্বর গতির ভেতর, ঘুরতে ঘুরতে, ওহ্ কী দুঃসহ, তাকে অচৈতন্য করে,পৌঁছে দেয় ধূলিঝড়ের শৃঙ্খলায়যেনমানুষের চেতনা, তার ভেতরে, একে একে, পুঁতে গেছে,ঊর্ধ্বমুখী, শূন্যের বীজ।****ভবিষ্যতের আগেএর নিদান কোথাও নেইচোখে মাত্র কটি পাতা রগড়েসবুজ হয়েছি শুধু—আমাকে চিরহরিৎ ভেবে ছুঁড়ে দিও নাপাখিদের বংশপরম্পরাপুষ্প-পতঙ্গের ডানানইলেবালু দিয়ে ভরে দিতাম দৃশ্য-যন্ত্রণার ভয়ে****অন্যদিনআমার হাড়ের মধ্যে, দ্যাখো, রোদ এলোএখনই উড়াল দেবে ফের—তার পাখনায় লাগুক বাতাস—এই আমি চাই;সে-ও ওই নীল থেকে নিয়ে নিক খড়কুটো;তাকে বলো, পক্ষিণীকে পাহারা দিক এ বেলা; যদিতার ডিম ফেটে আসে ঘরভর্তি কিচিরমিচির। অনেক তো হলো মেঘের ভেতর হারিয়ে ফেলা প্রেমিকার জন্য;তোমার হাড়ের শিশি খুলে এইবারওই পক্ষিণীর হলুদ গ্রীবায় জল দাও।****শাড়ি                            তক্কে তক্কে আছিশাড়ি তার কোথায় দেয় রোদ্দুরেদিলেই হাওয়াকে টেনে নেয় ফুসলিয়ে!বাকি আছে ওই একখানাইওটাও যদি বা হাত করিচাইতে এলেই ছেনে দেবোবুক জুড়ে নীল ওইটুকুইযদি না সে দেয় ধরাএকা একাই ভাঁজ খুলেশুঁকে নেবো নীল ওইটুকুইএসইউ/আরআইপি

Advertisement