জ্বর হলে মুখে আর কোনোকিছুই যেন রোচে না। তখন মধুকেও যেন চিরতার রস মনে হয়। স্বাভাবিক সব খাবার বন্ধ করে তখন খেতে হয় পথ্য ধরনের খাবার। মুখে না রুচলেও একপ্রকার জোর করেই খেতে হয়। তবে এমনকিছু খাওয়া উচিত যা শরীরে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি জ্বর সারাতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেই এমনই কিছু খাবারের কথা।আদা দিয়ে গলানো ভাত খুব একটা উপাদেয় নয় কিন্তু ফ্লু-এর ক্ষেত্রে শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ভাতটা গলা গলা থাকলে ভালো।আপেল, কমলালেবু, আঙুর, আনারস ইত্যদি ফলে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে। তাই জ্বরের সময় ফ্রুট সালাদ খাওয়া উচিত বেশি করে।যে কোনও নরম খাবার যেমন সবজি, ডিমসেদ্ধ ইত্যাদি খাবার হজম হতে সুবিধে হয়। ভাত চটকে খাওয়া যাদের পছন্দ নয় তারা এই খাবারগুলি খেতে পারেন। এগুলি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।আদার মতোই রসুনও সর্দিজ্বর নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। এককাপ মতো পানিতে একটি কোয়া ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই ইষদুষ্ণ পানি দিনে দুইবার খেলে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।জ্বরের সময় মাঝেমধ্যেই একটি-দুটি করে কিসমিস খাওয়া ভালো কারণ এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাছাড়া শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে এই ড্রাই ফ্রুট।দিনে দুইবার কমলালেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।সর্দি-কাশি প্রতিরোধে পরিচিত টোটকা তুলসি-মধু। জ্বর হলে একটি-দু’টি পাতা চিবিয়ে খেলেও উপকার হবে।প্রোবায়োটিক হলো ভালো ব্যাকটেরিয়া যারা শরীরে বাসা বেঁধে অন্যান্য ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনও প্রোবায়োটিক ড্রিংক খাওয়া যায়। এছাড়া ইয়োগার্ট বা বাটারমিল্কও প্রোবায়োটিক ফুড।অরেগানো একটি ভূমধ্যসাগরীয় হার্ব যা মূলত রান্নায় দেওয়া হয়। ঠান্ডা লাগা, সর্দিজ্বর ইত্যাদিতে খাওয়া ভালো।এইচএন/আরআইপি
Advertisement