অর্থনীতি

আহসান খান চৌধুরী সিআইপি মনোনীত

অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরীকে ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) মনোনীত করেছে সরকার। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ‘সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালা, ২০১৪’ অনুযায়ী ২০১৫ সালের জন্য পাঁচ ক্যাটাগরিতে ৫৮ ব্যবসায়ীকে বেছে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন আহসান খান চৌধুরী।সিআইপি নীতিমালা অনুযায়ী সিআইপিরা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এক বছরের জন্য একটি পরিচয়পত্র পাবেন। এ পরিচয়পত্র দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশসহ বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন।এছাড়া সিআইপিরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। ভিসা প্রাপ্তির সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন’ দেবে। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন সিআইপিরা।একইসঙ্গে মেয়াদকালীন সময়ে সরকার শিল্প বিষয়ক নীতি-নির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা শেষ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে যোগদান করেন। ৪৬ বছর বয়সী আহসান খান ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক।উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই গ্রুপের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।এমইউএইচ/আরএস/আরআইপি

Advertisement