ঘরের সাজ যাই হোক, শতভাগ বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তুলতে বেছে নিন লক্ষ্মীর সরা। দরজার বাইরের দেয়ালে আর ঘরে প্রবেশপথের প্যাসেজে সাজান নানা রঙের আলপনা করা লক্ষ্মীর সরা। আলপনা করা লক্ষ্মীর সরা বাজারে একটু খুঁজলেই পাবেন। আবার নিজে সরা কিনে মনমতো আলপনা করে নিতে পারেন। লক্ষ্মীর সরার সঙ্গে একটু সবুজের ছোঁয়া রাখুন। দেয়াল ঘেঁষে একই আকৃতির কয়েকটি ইনডোর প্লান্টের টব রাখুন। একইভাবে লক্ষ্মীর সরা সাজাতে পারেন বসার আর খাবার ঘরেও। বসার ঘরে গাছ থাকলে তার ওপরের দেয়ালে সাজান লক্ষ্মীর সরা।ঘর সাজাতে শীতল পাটি আর শখের হাঁড়ির জুড়ি নেই। বসার ঘরে আধুনিক সাজেও শীতল পাটি অনায়াসে মানিয়ে যায়। ঘরের একটা কর্নারে শীতল পাটি বিছিয়ে দিন। তার ওপর ভিন্ন রঙের তিনটি শখের হাঁড়ি রাখুন। বাঙালিয়ানার সঙ্গে পাবেন বাড়তি অতিথির বসার ব্যবস্থা। বড় একটা ছড়ানো শখের হাঁড়িতে পানি দিয়ে তাতে কিছু গোলাপ পাপড়ি আর ভাসমান মোম দিন। বসার ঘরের প্রবেশের একপাশে রাখুন। দেখুন ঘরের মডার্ন সাজ আর চোখেই পড়বে না। খাবার টেবিলের মাঝে রানারের বদলে লম্বা করে শীতল পাটি বিছিয়ে তার ওপর সারি করে রাখুন তিনটি রঙিন শখের হাঁড়ি। শোবার ঘরে বিছানার চাদরের ওপর একটা শীতল পাটি বিছিয়ে দিন। দেশীয় কোনো মোটিফ রাখুন বালিশের কভারে।বসার ঘরের দেয়ালের আয়তন অনুযায়ী গাজীর পটের জন্য ফ্রেম নিন। দেয়ালে আয়তন ৮ ফুট বাই ১০ ফুট হলে ফ্রেমের মাপ হবে ৩ ফুট বাই ৬ ফুট। এবার ফ্রেমের ভেতর নকশাদার কয়েকটি গাজীর পট গুচ্ছ করে সাজান। সামঞ্জস্য আনতে ঘরের ফেব্রিক্স অর্থাৎ কুশনকভার, জানালার পর্দা বা পেলমেটে গাজীর পটের রঙের ছোঁয়া রাখুন। মোটকথা বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তুলতে ফার্নিচার নয়, ঘরের ফেব্রিক্স আর শোপিসে আনুন বৈচিত্র্য। নকশিকাঁথা, মাটি, বেত বা বাঁশের শোপিস রাখুন ঘরে। এগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুললে ঘরে এমনিতেই বাঙালি আমেজ চলে আসবে।এইচএন/পিআর
Advertisement