আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কার্জন হলের আদলে গড়া প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই ডান পাশে চোখে পড়বে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ প্যাভিলিয়ন। প্যাভিলিয়নের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। নজর কাড়া এ ভাস্কর্য দেখতেই দর্শনার্থীরা ছুটে চলছেন প্যাভিলিয়নে।মঙ্গলবার মেলায় দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল লক্ষণীয়। সাজসজ্জায় সম্পন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা। অন্যান্য প্যাভিলিয়নের পাশাপাশি ভিড় ছিল বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়নেও। দর্শনার্থীর একটি বড় অংশ শিক্ষার্থীরা। গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখছেন প্যাভিলিয়নের ভেতরে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ঢুকছেন প্যাভিলিয়নটিতে। ঘুরে ঘুরে দেখছেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও শাসনকালের বিভিন্ন ছবি। যেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশার বিভিন্ন স্মৃতি প্রকাশ পেয়েছে। আর সেই স্মৃতির সঙ্গে অনেকেই ব্যস্ত নিজের ছবি তুলতে।প্যাভিলিয়নে সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন মো. মোবারক। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশের সঠিক ইতিহাস জানাতেই এ আয়োজন। এখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতির বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজও দর্শনার্থীদের দেখানো হচ্ছে। মেলার দিন যত বাড়ছে ততই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।প্যাভিলিয়নটিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন সময়ের দেড় শতাধিক ছবি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর লেখা চিঠি, বিভিন্ন সময় দেয়া ভাষণ ও বাণীসহ পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের ছবি।রাজধানীর মালিবাগ থেকে জাহিদুল ইসরাম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মেলা দেখতে। তিনি বলেন, এখানে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন বিষয় জানলাম, যা অনেক কিছুই বই পড়ে জানতে পারিনি।তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বঙ্গবন্ধুর ছোট থেকে বড় হওয়ার ছবিগুলো। কীভাবে তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছেন ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়।প্যাভিলিয়নে ছবি তুলছিলেন কলেজ ছাত্রী আয়শা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা শুনেছি। টিভিতে অনেক ভিডিও ফুটেজ দেখি। কিন্তু আজ এখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে মনে হচ্ছে তিনি আজও আমাদের মাঝে রয়েছে।বঙ্গবন্ধুকে জানতে জাহিদ ও আয়শার মতো অনেক দর্শনার্থী ভিড় করছেন ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ প্যাভিলিয়নে। প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করেই দেয়ালে টাঙনো ছবির দিকে তাকিয়ে থাকছেন তারা। কেউ পড়ছেন আবার কেউ ভিডিও চিত্র দেখছেন। প্রতিটি দেয়ালে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।এসআই/আরএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement