তারা ক্রিকেটার। তাদের কাজ মাঠে ক্রিকেট খেলা। ধার্মিক বলে হয়তো নিয়মিত নামাজ আদায় করেন; কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কী কখনও ভাবতে পেরেছিলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়ে কোনো এক জুমার দিন মসজিদের মেহরাবে দাঁড়িয়ে খুতবা দিতে হবে এবং জুমার নামাজে ইমামতি করতে হবে! মানুষ যা ভাবে না তার অনেক কিছুই ঘটে। তেমনই এক অভাবনীয় এবং দারুণ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নেলসনে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের টিম হোটেলের পাশে স্থানীয় এক মসজিতে আজ জুমার নামাজ পড়তে গেলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সেখানে গিয়ে দেখলেন মসজিদের নিয়মিত ইমাম উপস্থিত নেই।মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আহ্বান জানালেন, আপনাদের মধ্যে কেউ পারলে ইমামতি করেন। মাহমুদউল্লাহ তখন এগিয়ে এলেন। বললেন, আমি জুমার খুতবার নিয়ম-কানুন জানি। তবে খুতবা কোথায় পাবো?এ সময় তার সহযোগিতায় এগিয়ে এলেন তামিম ইকবাল। দু’জন মিলে বসে গেলেন গুগলে খোঁজাখুঁজি করতে। মোবাইলে বসেই গুগল খুঁজে তারা দু’জন বের করে ফেললেন জুমার নামাজের দুই খুতবা এবং সেটা ডাউনলোডও করে ফেললেন।এরপর মোবাইল হাতেই মেহরাবে দাঁড়িয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মোবাইলে রেখেই আরবিতে জুমার দুই খুতবা পাঠ করলেন তিনি। সবশেষে নেলসনের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজের ইমামতি করলেন মাহমুদউল্লাহ। দারুণ দক্ষতায় খুতবাসহ পুরো জুমার নামাজ আদায় হলো বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের ইমামতিতে। আইএইচএস/পিআর
Advertisement