‘তোমাকেই বলে দেবা’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদ’, ‘ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’ ইত্যাদি গানগুলো দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে গেছেন সংগীতের নন্দিত মানুষ সঞ্জীব চৌধুরী। অল্প কিছু গান দিয়েই তিনি বাজিমাত করে গেছেন বাংলা গানের আঙিনা।এই নন্দিত গায়কের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি প্রাঙ্গনে ‘সঞ্জীব উৎসব’র আয়োজন করা হয়। সঞ্জীব উৎসব উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ‘সঞ্জীব চত্বরে’ অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবের এটি ৫ম আসর। এখানে গান পরিবেশনা করেন সঞ্জীব অনুরাগী জনপ্রিয় বেশ কিছু ব্যান্ড ও শিল্পীরা। সবার মধ্যমনি হয়ে ছিলো সঞ্জীব চৌধুরীর নিজের গড়ে যাওয়া ব্যান্ড ‘দলছুট’। এই দলের হয়ে বেশ কিছু গান গেয়ে শোনান সঞ্জীব চৌধুরীর দীর্ঘদিনের সহযোগী বাপ্পা মজুমদার।এছাড়াও শাহরিয়ার, পারভেজ, তরুণ, চিৎকার, পরিধি, ঘুনপোকা, গানকবি, অর্জন, নোন্তা বিস্কুট, অনুরণ, ত্রিব্যাঞ্জন, ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির শিল্পীবৃন্দের গানের সুরে সঞ্জীব চৌধুরীকে স্মরণ করেন তার শ্রোতা-অনুরাগীরা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন সৃষ্টিশীল শিল্পী, লেখক এবং সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে বাপ্পা মজুমদারের যুগলবন্দী ‘দলছুট’ ব্যান্ড উপহার দিয়েছিলো অসংখ্য শ্রোতানন্দিত গান। সাংবাদিকতা জগতে তার সৃষ্টিশীল নানা কাজ নতুন দিগন্তের সুচনা করেছিলো।আমি তোমাকেই বলে দেবো, সাদা ময়লা, সমুদ্র সন্তান, জোছনাবিহার, তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও, আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদ, স্বপ্নবাজি প্রভৃতি কালজয়ী গানের সাথে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। গাড়ি চলে না, বায়োস্কোপ, কোন মিস্তরি নাও বানাইছে গান গুলো গেয়ে বাংলা ফোক গানকে তিনি নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছেন।১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেয়া এই শিল্পী ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অকাল প্রয়াণ ছিলো বাংলাদেশের সংগীত ও সাংবাদিকতার জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।এলএ
Advertisement