‘ইলেক্ট্রনিক্স বর্জ্যের ব্যাপকতা ও অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য’ উল্লেখ করে এ বিষয়ে নীতিমালা/আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।বুধবার পবা মিলনায়তনে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় সভায় এ দাবি জানানো হয়।এ সময় আলোচকরা বলেন, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, রফতানি, বিক্রয় এবং ব্যবহার-পরবর্তী রিসাইকেল ও ডাম্পিংয়ের জন্য দরকার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। তারা বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে প্রযুক্তিগত পণ্যের ব্যবহার। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সর্বত্রই প্রতিনিয়ত ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক পণ্যের প্রতি বাড়ছে মানুষের নির্ভরতা। ডেস্কটপ পিসির জায়গা দখল করে নিয়েছে ল্যাপটপ, ল্যাপটপের বদলে ট্যাব, ফিচার ফোনের বদলে স্মার্টফোন, সিআরটি মনিটরের জায়গা দখল করেছে এলসিডি, এলইডি মনিটর। এভাবেই নতুন নতুন সংস্করণের ডিভাইস বিদায় জানাচ্ছে পুরনো ডিভাইসকে। তারা বলেন, দিন দিন বাড়ছে ই-বর্জ্যের স্তূপ। পরিত্যক্ত টেলিভিশন, কম্পিউটার, কম্পিউটারের মনিটর, যন্ত্রাংশ, ল্যাপটপ, ল্যাপটপের ব্যাটারি, চার্জার ক্যাবল, প্রিন্টার, প্রিন্টারের টোনার, মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, চার্জার, ট্যাব, এনার্জি সেভিংস বাল্ব, টিউব লাইটসহ সব ধরনের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য এবং পণ্যের নানা যন্ত্রংশ ই-অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আজও দেশে গড়ে ওঠেনি পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব বর্জ্য সঠিক কালেকশন এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এসব বর্জ্য উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা, ডাম্পিংও রূপান্তর না করলে পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে ফলে পরিবেশ দূষণের চরম বিপর্যয়ের মুখে আজ বাংলাদেশ।পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য ও পরিবেশ কর্মী রাজীব কুমার দত্ত। গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) চেয়ারম্যান শাহারিয়ার হোসেন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, পবার সহ-সম্পাদক মো. সেলিম প্রমুখ।এএস/এমএস
Advertisement