বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান কী ভাবে ঘটেছে এবং তার বিস্তারই কী ভাবে হয়েছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন কিন্তু যে কথা সাদাচোখে একজন সাধারণ মানুষও বলে দিতে পারে তাহলো ক্রমাগত ধর্মকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহারের ফলে আজকে আমরা এক মহাবিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়েছি, যা থেকে উদ্ধারের জন্য কেবলমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘ক্র্যাকডাউন’-ই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন একটি সামাজিক বিপ্লব, পরিবার থেকে যার উদ্বোধন হওয়া উচিত বলে আমার বিশ্বাস। আমরা যদি বিগত দু’টি দশককে আমাদের চোখের সামনে হাজির করি তাহলে দেখতে পাই যে, এদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলি অর্থে, অস্ত্রে, ক্ষমতায় ক্রমাগত ফুলে-ফেঁপে উঠছে। একটি বিশাল অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে তারা এদেশে। যে সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য এদেশে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতাসীন সরকারকে তারা জিম্মি করে রেখেছিল ধর্মের দেয়াল দিয়ে, পান থেকে চুন খসলেই ইসলাম বিপন্ন বলে জুম্মার নামাজের দিন রাজধানী অচল করে দেওয়ার যে ভয়ঙ্কর প্র্যাকটিস আমরা দেখেছি এদেশে তা কোনো সভ্য দেশের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আজকে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে জঙ্গি বের হয়ে আসেনি। আমি এই পক্ষীয়দের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে দ্বিমত পোষণ করে একথা জোর দিয়েই বলতে চাইছি যে, সেখান থেকে চিহ্নিত কোনো জঙ্গি না বেরিয়ে এলেও এই শিক্ষাব্যবস্থাটিই আসলে একজন মানুষকে পশ্চাদপদ চিন্তাভাবনার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে এবং এক সময় তাদের ভেতর ধর্মই এক ধরনের জঙ্গিপনা জন্ম দেয়। এই ছোট্ট লেখায় বিস্তারিত উদাহরণ দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা যদি কেবল জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক প্রভাব, প্রতিপত্তি ও বিস্তারের ধারাকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই যে, তারা দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রথমে টার্গেট করে এগিয়েছিল, পরবর্তীতে তারা তাদের কৌশলে একটু পরিবর্তন ঘটিয়ে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেও হাত বাড়িয়ে দেয়। সেখানে তারা কমিউনিস্ট পার্টির আদলে একটি শিক্ষামূলক রাজনৈতিক কার্যক্রমও চালু করে এবং তাতে যে সফলকাম হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সেসব কর্মীদের এই দলটি কী ভাবে ক্যারিয়ার গঠনেও সহযোগিতা করেছে। ফলে এই ধর্মভিত্তিক ও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির নিট ফলাফল হচ্ছে তাদেরকে দিয়ে যে কোনো ধরনের কাজ এই রাজনৈতিক দলটি করাতে সক্ষম। এদিকে গত দুই দশক ধরে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে টার্গেট করে একদল ভণ্ড ও বকেয়া বাম রাজনীতিবিদ, যারা এক সময় এদেশে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন তারা নিউ-লিবারেলিজমের নামে রাজনৈতিক ইসলামকে ক্ষমতাশীল করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। তারা মূলতঃ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মেধাবীদের ‘মগজ-ধোলাই’ পদ্ধতিতে এগুনো শুরু করে। যার ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পাই যে, গণজাগরণ মঞ্চ’র বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক ইসলামের সৈনিকরা মাঠে নেমেছিল তারা মূলতঃ এই নব্য ইসলামিস্ট। তারা এদেশের গণ-ইসলামকে অগ্রাহ্য করে, এ মাটির আদি ও অকৃত্রিম অসাম্প্রদায়িক ধর্মবিশ্বাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যায় চাপাতি হাতে এবং তারপর গোলা-বারুদ-বন্দুক নিয়ে হোলি আর্টিজানে তার ভয়ঙ্কর রূপটি বাঙালি জাতিকে দেখাতে সক্ষম হয়। বিশ্বের দৃষ্টিও বিস্ফারিত হয় হোলি আর্টিজানের সেই ঘটনায়, বাংলাদেশ রাতারাতি আর শান্ত-শিষ্ট দেশের তালিকায় থাকে না, হয়ে ওঠে সন্ত্রাস উৎপাদনের দেশ। কোনো গবেষক যদি কেবলমাত্র হোলি আর্টিজানের ঘটনার প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক ও ধারণাগত দিক থেকে বাংলাদেশের ক্ষতি কতোটুকু হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে, বাংলাদেশ কোনো ভাবেই আর হোলি আর্টিজানের ঘটনার আগের অবস্থানে নেই বিশ্বের চোখে। কিন্তু এখানে সরকারকে ধন্যবাদ দিতেই হয় যে, অতি দ্রুত অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সফলতার সঙ্গে দেশে জঙ্গি দমনে কার্যকর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হয়, যা দেশের বাইরেও সমানভাবে প্রশংসা কুড়ায়। সেই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা এও জানতে পারি যে, দেশের ভেতর বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ভেতর থেকে অনেকেই ‘মিসিং’ এবং তারা কোনো না কোনো ভাবে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সম্পর্কিত। বেশ কিছু পরিবারের কথাও জানা যায় যারা পুরো পরিবার নিয়ে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া এই জঙ্গিদের কারা অর্থায়ন করছে পুলিশের পক্ষ থেকে তার একটি তালিকা তৈরির কাজও দীর্ঘদিন ধরে চলছিলো, খুব শিগগিরই হয়তো আমরা তাদের নামেরও তালিকা পাবো। এতোকিছুর পরও কিন্তু দেশে জঙ্গিবাদের মৃত্যু ঘটেনি। আজকেই গণমাধ্যম আমাদের জানাচ্ছে যে, রাজধানী থেকে চার তরুণ নিখোঁজ হয়েছে, এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনে করছে যে, তারা কোনে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এতো কিছু হয়ে যাবার পরও এই নিখোঁজ তরুণদের অভিভাবকগণ বলছেন যে, তারা নাকি খুব সাধারণ পর্যায়ের ধর্মকর্ম করতো, শুক্রবার নামাজ পড়তো ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রশ্ন যে সেখানে নয়, সেটা আমরা জানলেও তারা হয়তো বুঝতে পারছেন না যে, ধর্মকর্ম করার সঙ্গে জঙ্গি হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের ইসলাম ধর্ম আসার পর থেকে যারা এদেশে বাস করেছেন তারা কি ধর্মকর্ম পালন করেননি? অবশ্যই করেছেন। কিন্তু তাদেরতো এরকম জঙ্গি হতে হয়নি। হোলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটাতে হয়নি। কোনো রকম উগ্রবাদ ছাড়াই এদেশে ইসলাম টিকে আছে এবং বিস্তার ঘটছে। কিন্তু হঠাৎ কেন ইসলাম রক্ষায় এদেশে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হয়ে উঠতে হচ্ছে তরুণদের সে প্রশ্ন আমরা কেউ আমলে নিচ্ছি না। আসল কথা হলো, এই তরুণদের মাথায় একথা সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যারা ক্ষমতাসীন আছে অর্থাৎ শেখ হাসিনার হাতে ইসলাম নিরাপদ নয়। বিএনপি-জামায়াতের মতো ধর্মভিত্তিক ও পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক জোটকে ক্ষমতায় আনতে না পারলে এদেশে ইসলাম টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। মোটাদাগে এটাই হলো এই জঙ্গিদের মনে বিষ ঢোকানোর মন্ত্র। এর সঙ্গে ভারত-বিরোধিতার রাজনীতিকে যোগ করে যদি পুরো ব্যাপারটিকে দেখা যায় তাহলে এদেশে রাজনৈতিক ইসলামের মূল উদ্দেশ্য আমাদের সামনে স্পষ্ট হতে শুরু করে। অথচ, মধ্যপ্রাচ্যেও কিন্তু রাজনৈতিক ইসলাম একটি ক্ষীয়মান ধারা। এ বিষয়ে আরেকদিন বিস্তারিত বলার দাবি জানিয়ে রাখলাম সম্পাদকের কাছে। আজকে বাংলাদেশের আসন্ন বিপদ ও এদেশের তরুণ প্রজন্মকে এই বিষাক্ত প্রবণতা থেকে কী করে সরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই। প্রথম কথা হলো, আপনার সন্তানকে আপনি সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার ক্ষেত্রটি তৈরি করে দিচ্ছেন কিনা, সে প্রশ্ন করুন। আপনার সন্তান ধর্মকর্ম করে, শুক্রবার নামাজ পড়ে, অবশ্যই সেটা সে করবে কিন্তু সেটা কি আপনার প্রভাবে করছে নাকি অন্য কেউ তাকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করছে সেটি লক্ষ্য করার দায় ও দায়িত্ব আপনার নিজের। যতোদিন এদেশে বাড়িতে হুজুর রেখে কোরআন পড়ানোর রীতি চালু ছিল ততোদিন এদেশে জঙ্গিবাদ বলে কিছুই ছিল না। কিন্তু যখনই ‘জামায়াতে’ ও ‘দাওয়াত’ প্রথা চালু করে দলে দলে তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক ইসলামের বীজ বোনা শুরু হয়েছে তখন থেকেই আমরা এদেশে জঙ্গিবাদী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছি। আফিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর এই ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক ধর্ম-চিন্তাকে কৌশলে তরুণ মনে ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। বেঁচে থাকলে গাজী মারা গেলে শহীদ- এই ভয়ঙ্কর অপপ্রচারে তারা বিশ্বাসী হয়ে উঠছে এবং নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে, সেই সঙ্গে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকেও করে তুলছে বিপদগ্রস্ত। এ পর্যন্ত নিহত হওয়া, ধরা পড়া কিংবা পলাতক জঙ্গিদের সম্পর্কে যেটুকু তথ্য পাওয়া যায় তা বিশ্লেষণ করলে প্রথমেই আমরা দেখতে পাই যে, এরা পারিবারিক ভাবে ক্রমশঃ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া (যেখানে পিতামাতা নিজেও জঙ্গি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ) প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা বাঙালির স্বাভাবিক জীবনাচরণ, সংস্কৃতি-চিন্তা ও চেতনা-বিচ্ছিন্ন হয়ে বেড়ে উঠেছে। ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করেছে কিংবা মাদ্রাসা থেকেও বেরিয়ে এসেছে। সাধারণ বাংলা মাধ্যমে লেখাপড়া করা ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা কম দেখা গেছে। এ বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কিন্তু সাধারণ ভাবে দৃশ্যমান প্রবণতা এটাই। প্রশ্ন হলো, পিতা-মাতা বা অভিভাবক হিসেবে আপনি যে সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন না সেটি কি আপনি স্বীকার করছেন? কেবলমাত্র মৃত জঙ্গিদের লাশ তার পরিবার গ্রহণ করছে না, এটা কোনো উদাহরণ হতে পারে না। আমরাতো বাংলাদেশে এই আন্দোলনও দেখেছি যে, ধরা পড়া জঙ্গিদের মুক্তির জন্য দেশের তরুণদের আস্ফালনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ভেসে যাচ্ছে। আদালতও এক্ষেত্রে শিথিল কাজ করেছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। জঙ্গিদের মুক্ত করে দেয়ার এই বিচারিক উদাহরণ আখেরে দেশের জন্য মঙ্গলকর হবে না সেকথা বলাই বাহুল্য। অতএব, আমাদের ভেবে দেখার আছে অনেক কিছুই, বিশেষ করে পরিবার প্রাথমিক ভাবে এদেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূলে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে সেকথাতো অস্বীকার করার উপায় নেই। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকেই জানা যাচ্ছে যে, বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের নতুন করে বাংলাদেশের জন্য সাবধান করে দিয়েছে, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে। আবার দেশীয় গণমাধ্যমে এই চার তরুণের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সত্যিই ভীত বোধ করছি যে, আবার কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে নাতো? এমনিতেই দেশের রাজনীতিতে ক্রমাগত মার খেয়ে খেয়ে দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক শিবিরটি কোণঠাসা হয়ে আছে, নিজেদের রাজনীতির ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য তারা নতুন কোনো ঘটনার জন্ম দিতে যাচ্ছে নাতো আবার? নির্বাচনের ঢোল বাজতে শুরু করেছে ইতোমধ্যেই, এখনই বোধ করি ঊর্বর সময় এদেশে আবার জঙ্গিবাদকে ফিরিয়ে আনার- এমনটি এদেশের গণতন্ত্র-বিরোধী, ধর্মাশ্রয়ী শক্তিটি ভাবতেই পারে নিজেদের স্বার্থে। অতএব, সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং সবচেয়ে বেশি সাবধানী এক্ষেত্রে হতে হবে পিতামাতাকেই যাদের তরুণ বয়সী সন্তান রয়েছে। কারণ এই ভয়ঙ্কর অপশক্তির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের ঘুঁটি হিসেবে আপনার সন্তানকেই যে তারা টার্গেট করেছে, একথা নিশ্চয়ই এতোদিনে আপনারা বুঝেছেন? না বুঝে থাকলে এবার দয়া করে বুঝুন ও সন্তানের ওপর নজরদারি বাড়ান, সন্তানকে ভালোবাসা দিন, সন্তানকে করিয়ে দিন বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয়। বাংলাদেশ নিরাপদ থাকুক, বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখুন। ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ২০১৬লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।masuda.bhatti@gmail.comএইচআর/এমএস
Advertisement