পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন অনেকেই। সহজেই এটি জমে যায় ঠিকই, তবে সহজে এটি দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। গবেষকদের মতে, পেটে মেদ জমার অনেক কারণ আছে। তলপেটে জমা গ্যাস, রাতে দেরি করে খাওয়া, কার্বোনেটেড পানীয়, কোনো দৈহিক কসরত না করা, ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং কম ঘুম কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে আপনি যদি মনস্থির করেই থাকেন মেদ কমাবেন, তাহলে একটু সতর্ক হোন। খাদ্য তালিকায় কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখুন। বিশেষ করে খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফল ও শাক-সবজি রাখুন।রোজ এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয় এবং পেটে যেন কম গ্যাস সৃষ্টি হয়, একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের আবর্জনা দূর হয় এবং মেদ জমতে পারে না। তবে প্রতিদিন রাতে ভারি খাবার কম খেয়ে কিছু ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে কমে যাবে অস্বস্তিকর তল পেটের মেদ। আনারস : আনারস এমন এক ফল, যা পেটের মেদ কমাতে কাজ করে। এর ফলে ক্যালোরির মাত্রা কম। এটা শরীরের হজম পদ্ধতিতে সাহায্য করে এবং মেদও ঝরায়।পেঁপে : পেঁপেতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এতে যে এনজাইম থাকে তা হজমে সাহায্য করে এবং ফ্যাট ভাঙতে পারে, যার ফলে ওজন কমে। রোজ পেঁপে খেলে ১০ দিনে কোমরের মাপ কমবেই।আপেল : আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। আপেল খেলে এমনিতে বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায়। রোজ আপেল খেলে মেদ বাড়ে না এবং ভুঁড়িও কমে।আঙুর : আঙুরও বেশ পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি দেয়, কারণ আঙুর হজম ধীর করে দেয়। আঙুরের রস আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। এতে দিনে প্রায় ১০ পাউন্ড অবধি খাবার খাওয়া কমাতে পারে।কলা : কলায় এমন কিছু এনজাইম আছে, যা হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোজ খাবারে কলা খেলে মেদ কমানোতে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়।এ্যাভোকাডো : প্রচুর ফাইবার আছে এ্যাভোকাডোতে। এটি খেলে চট করে খিদে পায় না। মোনো-স্যাটিউরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সাহায্য করে পেটের অংশে জমা মেদ কমাতে।তরমুজ : তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এছাড়া আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি। ওজন কমাতে এটা অন্যতম সেরা উপায়। প্রতিদিনের খাবারে তরমুজ খান, দেখবেন ওজন কেমন কমে।এইচএন/আরআইপি
Advertisement