আইন-আদালত

সাঁওতালদের ওপর গুলি চালানোর কারণ জানতে চেয়ে রিট

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে সাঁওতালদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর কারণ ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।গুলি চালানোর ঘটনায় বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হামলার শিকার সাঁওতালদের জানমাল রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে রিটে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সাঁওতালপল্লীর অধিবাসীদের চলাচল ও জানমালের নিরাপত্তা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোন কর্তৃত্ববলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালিয়েছে-এই প্রশ্নেও রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।বুধবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এবং ব্রতী সমাজকল্যাণ সংস্থা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন।রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, খাদ্য ও চিনি শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও সাহেবগঞ্জ সুগারমিলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, থানার নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) সহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী জেড আই খান পান্না।  রিটে বলা হয়, সাঁওতালরা বাংলাদেশের নাগরিক। তারা নিতান্তই অসহায়। এতটাই অসহায় যে তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সাঁওতালদের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ তাদেরকেই ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জে আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির ইন্ধনে সংখ্যালঘু সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাদের বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া যাবে না। তাদের জানমালের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে।উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির দখলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন সাঁওতালের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।সাঁওতালদের আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে মারধরের ঘটনা গণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ ওঠে সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুল ও গোবিন্দগঞ্জের এমপি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।এফএইচ/এআরএস/পিআর

Advertisement