পরিবেশের ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স ছাড়া পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার অবৈধ চার ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।পিরোজপুর জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, পুলিশ সুপার ও ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী মাহদিয়া বুশরা জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ইটভাটাগুলো হলো- মেসার্স রুমি ইন্টারপ্রাইজ ব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেড, মেসার্স বিবিআই ইন্টারপ্রাইজ ব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেড ও মেসার্স এম কে বি ব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেড। এছাড়াও মো. মোজাম্মেল মল্লিকের অপর একটি ইট ভাটা বন্ধের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।বুশরা জানান, একইসঙ্গে ইটভাটা বন্ধে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে পরিবেশ ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা, জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, পরিবেশ অধিদফতর বরিশাল, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদফতর পিরোজপুর ও ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।এক রিট আবেদনের শুনানি করে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন। রিটকারী আইনজীবী বুশরা জানান, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী ও পূর্ব ধাওয়া গ্রামে অবৈধভাবে মেসার্স রুমি এন্টারপ্রাইজ, বিবিআই এন্টারপ্রাইজ ও এম কে বি ব্রিকস লিমিটেড কোনো রূপ পরিবেশের ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সনাতন পদ্ধতিতে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে। এতে এলাকার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে তাদের সচেতন করার জন্য গত অক্টোবরের ৩১ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তারা নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় আমরা রিট আবেদন দায়ের করি। উক্ত রিটের শুনানিতে আদালত এই আদেশ দেন।পরিবেশ অধিদফতরের কোনো রকম ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করায় এলাকাবাসীর পক্ষে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মাহদিয়া বুশরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এফএইচ/জেএইচ/পিআর
Advertisement