রাজধানীর শাজাহানপুরে নলকুপের গভীর পাইপে পড়ে নিহত শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রেববার এ সংক্রান্ত আনা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।রিট দায়েরকারী ও আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুল হালিম জানান, একই সঙ্গে আদালত শিশু জিহাদের মৃত্যুতে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা রেলওয়ে ও সিটি কর্পোরেশনের অবহেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-রুলে তাও জানাতে বলেছে।এছাড়া গর্ত জাতীয় স্থানে মানুষ পড়লে তৎক্ষণিকভাবে জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ হিসেবে গত ২ বছরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ কি পরিমাণ যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ট্রেনিং গ্রহণ করেছে, সে সকল তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। তাছাড়াও কতগুলো অরক্ষিত পাইপ, ঢাকনাবিহীন পাইপ গর্ত, ম্যানহোল, পয়ঃনিষ্কাশণ পাইপ আছে তার তালিকা তৈরি করে আগামী ১৫ মের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করতে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনীর বাসার কাছে রেলওয়ে মাঠের পাম্পের গভীর পাইপে পড়ে যায় শিশু জিহাদ। পড়ে যাওয়ার ঘটনার প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে জিহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরে গত ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। জিহাদকে জীবিত উদ্ধারে সরকারি সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে অন্য একটি রিট আবেদন দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাইনুল হক।আরএস
Advertisement