দুজনই সাকিব আল হাসানের উইকেট বিসর্জন দেয়া দেখে হতাশ। যারপরনাই মনোক্ষুন্ন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সোজা সাপটা উচ্চারণ, ‘ওই একটি আউটই আমাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। তৃতীয় দিন শেষে আমরা যতটা পিছিয়ে- সাকিব অমন শট খেলে আউট না হলে এতটা পিছিয়ে থাকতাম না।’ অন্যদিকে বোর্ড পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খানও সাকিব আল হাসানের অ্যাপ্রোচ দেখে হতাশ। তবে তার প্রতিক্রিয়া তুলনামুলক কোমল। আকরাম জাগো নিউজকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আরও সময় নিয়ে খেলা উচিৎ ছিল সাকিবের। সবাই তার কাছ থেকে একটা লম্বা ইনিংসের আশায় ছিল। সাকিব আরও সেট হয়ে সময় নিয়ে তারপর অমন বিগ শট খেলার চেষ্টা করতে পারতো।’ এদিকে মিনহাজুল আবেদিন ও আকরামও মনে করেন, বাংলাদেশ এখনো ম্যাচের বাইরে নেই। মিনহাজুল বলেন, ‘সাকিব সকালে দ্বিতীয় বলে আউট হবার পরও বল হাতে ঘুরে দাড়ালে ম্যাচ ৫০ : ৫০ হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু শনিবার দিনের খেলা শেষে ম্যাচ ইংলিশদের পক্ষে চলে গেছে। এখন ৬৫ : ৩৫ -এ আছি আমরা।’ মিনহাজুলের অনুভব, মুশফিক একটা সময় পেসারদের ওপর নির্ভর করলে ভাল হতো। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশরা যখন ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে, তখন চা বিরতির পর পেসারদের দিয়ে বল করালে মনে হয় কার্যকর ফল হতো। বেন স্টোকস আর বেয়ারস্টোর পার্টনার তখন এত বড় নাও হতে পারতো।’তারপরও মিনহাজুলের ধারণা, ‘টার্গেট ২৭৫‘র আশপাশে রাখা গেলেও একটা সুযোগ থাকবে। তবে সে জন্য অন্তত তিন চার জনকে অসাধারন ব্যাটিং করতে হবে।’ আকরামের কথা, ইংলিশরা যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল, তখন খেলা অনেকটাই বাংলাদেশের হাতে ছিল। এখন হিসেব কঠিন হয়ে গেছে। তারপরও যদি লক্ষ্যমাত্রা ৩০০‘র মধ্যে রাখা যায়, তাহলে সম্ভাবনা থাকবে। অন্যথায় নয়।’ এআরবি/আইএইচএস/এএম
Advertisement