কেউ কেউ হয়তো বলবেন এটা ওয়ানডে নয়। টেস্ট। তা বলতেই পারেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটেও তো টার্গেট সেট হয়। টেস্ট ম্যাচ জিততেও অনেক সময় রান করা তাড়া করতে হয়। এখন পর্যন্ত যাই ঘটুক, চট্টগ্রাম টেস্টেও শেষ পর্যন্ত টাইগারদের রান তাড়া’ই করতে হবে। ২৭৩ রানে এগিয়ে যাওয়া অ্যালিস্টার কুকের দল হাতে থাকা দুই উইকেট নিয়ে আর কতদুর যাবে। টাইগারদের লক্ষ্য কত দাড়াবে? মুশফিকের দল শেষ পর্যন্ত তা তাড়া করতে পারবে কি না? রাজ্যের কৌতুহলি প্রশ্ন সবার মনে। একটা বড় অংশ উইকেটের কথা ভেবে চিন্তিত। এ ম্যাচে যিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে টিভি ধারাভাষ্য দিচ্ছেন সেই আতহার আলীও চিন্তিত। ‘নাহ , লক্ষ্যটা মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গেল। উইকেটের যে অবস্থা, বল যেভাবে লাটিমের মত ঘুরছে- তাতে মুশফিক, তামিম ও সাকিবরা কি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে? মনে হয় কাজটা কঠিন হবে।’ তবে একজন আশাবাদী। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা। সীমিত ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক আস্থা হারাননি। তার স্থির বিশ্বাস উইকেট যেমনই থাকুক, বাংলাদেশ এখনো ম্যাচ থেকে সরে পড়েনি। এখনো জয়ের সম্ভাবনা আছে। জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপকালে মাশরাফি শুনিয়েছেন আশার বাণী। তার মূল্যায়ন, আগামীকাল উইকেটের চেহারা পাল্টেও যেতে পারে। অতীত স্মৃতি টেনে মাশরাফি বলেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট কিন্তু শেষ দিনেও ভাল হয়ে যাবার রেকর্ড আছে। আমার এখনো পরিস্কার মনে পড়ছে, এই মাঠে আমাদের ও নিউজল্যান্ডের ম্যাচে প্রথম চার দিন উইকেট ছিল বোলারদের পক্ষে। আমরা দুই ইনিংসে আর নিউজিল্যান্ডও প্রথম ইনিংসে আড়াইশোও করতে পারেনি; কিন্তু শেষ দিন পিচ ভাল হয়ে গেল। আর কিউইরা ৩১৬ রানের বড়-সড় টার্গেট ছুয়ে ফেলে আমাদের হারিয়ে দিল।’ মাশরাফির আশা, কে জানে এ ম্যাচের উইকেটও চতুর্থ দিনে গিয়ে ভাল হয়ে যেতে পারে। যে পিচকে সবাই খুব কঠিন, জটিল ও টার্নিং বলছেন, মাশরাফি তাদের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন। তার কথা, ‘হ্যাঁ উইকেট দেখে ডিফিকাল্টই মনে হচ্ছে। তবে সারাদিন এর আচরণ একরকম থাকছে না। উইকেটে রান করা ডিফিকাল্ট, তবে সারা দিন নয়। আমি খুব ভাল করে খেয়াল করেছি সকালে আর পড়ন্ত বিকেলে উইকেট একটু সমস্যা হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। বাকি সময় ভালই থাকছে। ওই দুই সময় একটু বেশি বাড়তি সচেতন হয়ে সাবধানে খেলার চেষ্টা করা করা উচিৎ।’ মাশরাফি সব শেষে যে উদ্দীপক কথা বলেছেন, তা শুনে তামিম, ইমরুল, মমিনুল, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির ও মিরাজরা অনুপ্রাণিত হতেই পারেন। বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকদের মনেও জয়ের আশা তীব্র হতে পারে। মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি না, আমরা খেলা থেকে ছিটকে গেছি। আমার বিশ্বাস এখনো সম্ভাবনা আছে আমাদের। এ দলের প্রতিটি পারফরমারের সামর্থ্য ও শক্তি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা আছে আমার। সেই বোধ থেকেই বলছি, আমি বিশ্বাস করি ৩০০ রান পর্যন্ত তাড়া করে জেতার সামর্থ্য আছে আমাদের। এজন্য সবার আগে দরকার পজিটিভ অ্যাপ্রোচ। উইকেটের চরিত্র নিয়ে বেশি না ভেবে নিজেদের মেধা-প্রজ্ঞার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে ব্যাট করলে অবশ্যই ৩০০ রানের টার্গেট ছোঁয়া সম্ভব।’এআরবি/আইএইচএস/এএম
Advertisement