মাকসুদা আকতার প্রিয়তি। বাংলাদেশে জন্মালেও আয়ারল্যান্ডের নাগরিক। সেখানেই পড়াশোনা শেষ করে ক্যারিয়ার গড়েছেন বিমানের পাইলট হিসেবে। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার। কাজ ও সংসার সামলেও প্রিয়তি সৌন্দর্য আর প্রতিভা দিয়ে জয় করে চলেছেন বিশ্ব। উজ্জ্বল করছেন জন্মভিটা বাংলাদেশের মুখ। তিনি ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাবজয়ী সুন্দরী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রিয়তি আন্তর্জাতিক মানের একজন মডেল ও অভিনেত্রীও। একজন নারী হয়েও জীবনের প্রতিকূলতাকে তিনি প্রতিনিয়তই বশ করেছেন মানসিক শক্তি আর উদ্যমের আলোয়। বিশ্বব্যাপী নারীদের জীবনের যুদ্ধে উৎসাহী করতে, প্রেরণা জোগাতে চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এইচএমএল ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে প্রিয়তির আত্মজীবনী। এই খবর সবার জানা। নতুন খবর হলো- সেই জীবনী থেকেই এবার তৈরি করা হচ্ছে চলচ্চিত্র। অর্থাৎ সেলুলয়েডের রঙিন ফিতায় দেখা যাবে প্রিয়তির জীবনী। প্রিয়তি জাগো নিউজকে বলেন, দুজন আইরিশ পরিচালক রবি ওয়ালশ এবং কিরন ডেভিস এই বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের অনুরোধে ছবিটির চিত্রনাট্য লিখছেন প্রিয়তি নিজেই। এমনকি ৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের সেই বায়োপিকে তিনি নিজে অভিনয়ও করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরেই শুটিং শুরু হবে।এ প্রসঙ্গে প্রিয়তি বলেন, ‘এটা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার, নিজের জীবনের গল্পগুলোকে রঙিন পর্দায় দেখা। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। অনেক হাসি-কান্নার রঙ আছে জীবনে। তারই উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো ফুটে উঠবে ছবিতে।’১০ দিনের সফরে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসেছিলেন মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত বাংলাদেশি তরুণী মাকসুদা আকতার প্রিয়তি। নিজের বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে তিনি ব্যস্ত ছিলেন এখানে। প্রসঙ্গত, মডেলিং ও অভিনয় জীবনে প্রিয়তি অর্জন করেছেন অনেক স্বীকৃতি ও পুরস্কার। তার মধ্যে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ইন্টারন্যাশনাল রানওয়ে কুইন্স রিকগনেশন অ্যাওয়ার্ডসে পুরস্কৃত হন তিনি। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মিস ইউনিভার্সাল রয়্যালটি ২০১৩, আয়ারল্যান্ডে মিজ আয়ারল্যান্ড ২০১৪, মিস হট চকোলেট ২০১৪, মিস ফটোজেনিক ২০১৪, সুপার মডেল অব দ্য ইয়ার ২০১৪, মিস আয়ারল্যান্ড আর্থ ২০১৫ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মিস আর্থ হিসেবে প্রথম রানার-আপ ২০১৬, মিস কমপ্যাশনেট ২০১৬, মিস বেস্ট গাউন ২০১৬, মিস ফিটনেস ২০১৬ হয়েছেন।এলএ/পিআর
Advertisement