মৃত্যুর ৩৩ বছর পর প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য এম এন লারমার প্রতি শোক জানালো জাতীয় সংসদ। তিনি যখন মারা যান, তখন বাংলাদেশ সামরিক শাসনের কবলে। তারপর সাতটি সংসদ বসলেও উপেক্ষিতই ছিলেন পাহাড়িদের এই নেতা। অবশেষে রোববার দশম সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।এম এন লারমা নামে খ্যাত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংসদে স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে ১১টি নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গঠন করেন এম এন লারমা।এছাড়া রাষ্ট্রের জাতীয়তার প্রশ্নে আপত্তি থাকলেও ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি অন্তরালে চলে যান। গড়ে তোলেন সংগঠনের সামরিক শাখা ‘শান্তিবাহিনী’। পার্বত্যাঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে তার সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও চিহ্নিত হন তিনি।এত বছর পর এই শোকপ্রস্তাব কেন? জানতে চাইলে সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক এ এম মোতাহের হোসেন জানান, সাবেক এই এমপির মৃত্যুর পর সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়নি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন রাঙামাটির বর্তমান এমপি এম এন লারমা প্রতিষ্ঠিত জনসংহতি সমিতির নেতা ঊষাতন তালুকদার। গত বাজেট অধিবেশনের আগেই একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি স্পিকারকে অবহিত করেছিলেন তিনি। তখন শোকপ্রস্তাবে নামটি অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও এবার তা হয়েছে।এইচএস/আরএস/পিআর
Advertisement