ঈদ মানেই আনন্দ, হৈ-হুল্লোর। আর এ বাড়ি ও বাড়ি দাওয়াত। সকালে নিজের বাড়িতে এক গাদা অতিথি তো সন্ধ্যায় অন্য বাড়িতে হানা। আর কুরবানির ঈদ মানেই তো হাজারো ঝামেলা। তার উপর পুরো পরিবারের দায়িত্ব। তাই অতিথি আপ্যায়নের বেলাতেও থাকতে হয় সমান মনোযোগী। তবে কিছু ছোট ছোট টিপস আপনার এই কাজটিকে করতে পারে খুব সহজ। চলুন জেনে নেই টিপসগুলো। ঠিকানা :অতিথিদের বাড়ি চিনতে যাতে কোনো ভুল না হয় তাই তাদের সহজভাবে রাস্তা বুঝিয়ে দিন। প্রয়োজনে বাড়ির আশে পাশে দোকানের নাম কিংবা রাস্তার নাম উল্লেখ করে বলুন। যাতে তাদের কোনো কষ্ট না হয় ঠিকানা খুঁজে পেতে।নতুন অতিথি :নতুন অতিথিদের বাড়ি চিনতে কোনো কষ্ট হয়েছে কি না তা হাসি মুখে জিজ্ঞেস করুন। এতে মেহমান আপনার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে এবং সঙ্কোচ কেটে সব বলতে পারবে।বিরক্তভাব প্রকাশ না করা :অনেক সময় অতিথিরা বাড়ির ডেকোরেশন বা খাবার নিয়ে নানা মত প্রকাশ করতে পারেন। সে সব হাসিমুখে মানিয়ে নিন। তাকে তার মত করে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন।শোভনীয় নয় :মাঝে মধ্যে আমরা ডেকোরেশানের বস্তুর দাম নিয়ে কথা বলা শুরু করি। কোথায় থেকে কিনেছি তাও বলতে থাকি। এতে হয়তো অতিথি মনে মনে কষ্ট পেয়ে থাকে। তাই এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে অতিথি দ্বিতীয়বার আপনার বাসায় আসতে দ্বিধাবোধ করেন।ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় :স্বাভাবিকভাবেই যখন অনেক অতিথি বাড়িতে আসে তখন আপনার উপর প্রচুর রান্নাবান্নার ভার এসে পরে। আর সেই সময়ে কোনো কাজ ঠিক মত না হলে আপনার মেজাজ হয়ে যায় খারাপ, যা দেখতে দৃষ্টিকটু। তাই আপনি যে বিরক্ত হচ্ছেন তা বুঝতে দেবেন না। হাসি মুখে তাদের খাবার পরিবেশন থেকে সব কাজ করুন।উপহার :প্রথমবার আপনার বাসায় এসেছে এমন অতিথিদের আপনি ছোট ছোট উপহার দিতে পারেন। খাবারের তালিকা :বাঙালি খাবারের সঙ্গে চাইনিজ খাবার মিশিয়ে ফেলবেন না। গরুর মাংস রান্না করলে আলাদা করে সাথে মুরগিও রাখুন। যাতে কারো গরুর মাংসে এলার্জি হলে সে মুরগির মাংস খেতে পারে। তাছাড়া সাথে আমিষ জাতীয় খাবার রাখবেন সাথে আর অবশ্যই খাবারের শেষে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন দই, ফলমূল, আইসক্রিম এর ব্যবস্থা রাখুন।অতিথির সংখ্যা :অতিথিদের সংখ্যা মাথায় রেখে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করুন। প্রত্যেকে ঠিকঠাক আছে কি না তদারকি করুন।খাবারের বেলায় :• খাবার টেবিলে টিস্যু পেপারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখুন।• এই গরমে খাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে পানির দিকেও লক্ষ্য দিন। বিভিন্ন পানীয় যেমন লেবুর সরবত, জুস এইসবের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখুন।• দুপুরের খাবারে বোরহানির ব্যবস্থা রাখুন, এটি হজমে সাহায্য করে।• খাবার টেবিল সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য ফুলদানিতে কাঁচাফুল অথবা মোমবাতি রাখার ব্যবস্থা করা যায়। মোমবাতি কেবল সৌন্দর্যের জন্যই নয় এটি খাবার টেবিলে মাছির উপদ্রব কমাতেও সহায়তা করে।• তাছাড়া খাবারের উপরে টমেটো, গাজর, লেটুস পাতা কাঁচামরিচ ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়েও খাবার পরিবেশন করা যায়। এতে দেখতেও ভালো লাগে, খেতেও ভালো লাগে।আরএস/এমএস
Advertisement