বাংলাদেশ থেকে কর্মী হিসেবে সৌদি আরব যেতে খরচ হবে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। সরকার এই ফি নির্ধারণ করেছে। কেউ নির্ধারিত এই ফি`র চেয়ে বেশি টাকা নিলে বা কোন ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ও সৌদি সরকার। জানাগেছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের মধ্যেই সৌদি আরবে তিন লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশ জনশক্তি রফতানি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সৌদি আরব সব খাত উন্মুক্ত করেছে। এরপর সরকার ওই দেশে কর্মী পাঠাতে খরচ নির্ধারণের জন্য জনশক্তি রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সৌদি আরবে কর্মী প্রেরণে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ নির্ধারিত এই টাকার বেশি নিলে বা দাবি করলে দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের প্রতিও এর বেশি টাকা না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।উল্লেখ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ছয় বছর বন্ধ রাখার পর বিগত ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সৌদি আরব। তবে গত দেড় বছর নারী গৃহকর্মীদের পাশাপাশি শুধুমাত্র গৃহখাতে শ্রমিক নেয় দেশটি। অবশেষে সরকারের ব্যপক চেষ্টায় গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের কর্মী নিয়োগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় সৌদি শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। এরপর সৌদি আরব থেকে পুরুষ কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্রও আসতে শুরু করেছে। তবে ইতোপূর্বে সৌদি আরবে শ্রমিক হিসাবে যাওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতো বলে অভিযোগ আছে। এ কারণে নতুন করে বাজার চালুর আগেই খরচ নির্ধারণের বিষয়টি উঠে আসে। এরপর সরকার এ নিয়ে জনশক্তি রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সৌদি আরবে কর্মী প্রেরণে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে।এমএমজেড/এমএস
Advertisement