আর্য পারমানা। ১০ বছর বয়সের এক শিশু। ইন্দোনেশিয়ার আরাওয়াং রিজেন্সির সিপুরওয়াসারি গ্রামের ওই শিশুটি আর দশটা শিশুর মতো নয়। ভাবছেন কেন? আসলে এত অল্প বয়সেই শিশুটির ওজন ১৯২ কেজিতে পৌঁছেছিল। শরীরের বাড়তি ওজনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে স্থুলকায় শিশুর খেতাব পেয়েছিল শিশুটি।১৯২ কেজি ওজন বহন করা পারমানার জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। স্থুলকার শরীর নিয়ে সে ঠিকমতো চলাফেরাও করতে পারত না। শুধু তাই নয় বিশাল এই দেহ নিয়ে স্কুলও যেতে পারত না পারমানা। স্বাভাবিকভাবে শুয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হত তার। দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘুমাতো সে। বিশ্বের সবচেয়ে মোটা এই শিশুটিকে দেখতে আশ-পাশের লোকজন প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে ভিড় জমাতো। জরুরি ডায়েটে থাকা স্থুলকায় এই শিশুর চিকিৎসকরা শিশুটির জীবনকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তারা জানিয়েছেন, যথাযথভাবে ডায়েট করা না গেলে যে কোনো সময় না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে পারে সিপুরওয়াসারির স্থুলকার এই শিশুটি।তবে আশার কথা হচ্ছে চিকিৎসকদের পরামর্শে এবং যথাযথ ডায়েট মেনে চলার কারণে ওজন কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছে এই শিশুটি। এখন সে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা ব্যায়াম করে শরীরের ওজন আরো কমানোর চেষ্টা করছে সে। ওজন কমায় খুব খুশি পারমানা। নিজের শারীরিক উন্নতি সম্পর্কে সে জানিয়েছে, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আমি আমার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি স্কুলে যেতে পারছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা। এখানে সবাই আমাকে পছন্দ করে। শিক্ষকরা আমাকে খুব ভালোবাসে। আমার অনেক বন্ধু হয়েছে। তারা আমার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করে। এটা সত্যিই খুব মজার। পশ্চিমাঞ্চলীয় জাভা প্রদেশের বানদুংয়ে হাসান সাদিকিন হাসপাতাল পারমানার চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছিল। তাদের সহযোগিতাতেই পারমানা ধীরে ধীরে নিজের ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। চিকিৎসকরা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্দিষ্ট ডায়েট ও ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছেন পারমানাকে। সে এগুলো আনন্দের সঙ্গেই পালন করার চেষ্টা করছে। টিটিএন/এমএস
Advertisement