অর্থনীতি

রোববার রফতানি ট্রফি প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী

গত দুই অর্থবছরের জন্য জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করা হবে আগামী কাল (রোববার) । রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ট্রফি প্রদান করবেন। ট্রফির মধ্যে ২০১১-২০১২ বছরের জন্য পণ্য ও সেবা খাতে ২৪টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য এবং ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পণ্যখাত নির্বিশেষে একটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ রফতানি আয় অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বর্ণ ট্রফির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে পণ্য ও সেবা খাতের ২৬টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য এবং ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পণ্য খাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রফতানি অবদানের ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ ট্রফি প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১১৩টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে এ জাতীয় রফতানি ট্রফি ও সনদ প্রদান করা হবে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বণিক সমিতি এফবিসিসিআই-এর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ ও সুসংহত করার ক্ষেত্রে রফতানি বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং রফতানির প্রকৃতি ও পরিমাণ ব্যাপকতর পর্যায়ে উন্নীতকরণ অপরিহার্য। সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে। রফতানি সহায়ক সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ দেশের রফতানি বাণিজ্যের উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে মাত্র। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকাই মুখ্য। বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্যে নানা প্রতিকূলতা বিদ্যমান। এর সাথে সংযুক্ত হচ্ছে বাণিজ্য প্রতিযোগীদের বিবিধ চ্যালেঞ্জ এবং দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরের বিবিধ জটিলতা। এসব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে রফতানি খাত দৃপ্ত কঠিন প্রত্যয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য রফতানি বাণিজ্য উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যথোপযুক্ত সম্মান থাকা সমীচীন। এ নৈতিক বোধ থেকে সরকার রফতানি বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা পর্যায়ে উলে­খযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রফতানি ট্রফি ও সনদ প্রদান করা হয়। এতে রফতানি বাণিজ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ও পারস্পারিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করেছে। শুরুতে এটি রাষ্ট্রপতির রফতানি ট্রফি হিসেবে নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে জাতীয় রফতানি ট্রফি নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃতি রফতানিকারকদের আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করে থাকেন।এমএ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement