দেশের নৌ-ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণে এবং নৌ-দুর্ঘটনা বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগসমূহের করণীয় নির্ধারণ, সক্ষমতা নিরুপন এবং অবিলম্বে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দশম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।বৈঠক থেকে নৌযানের অনুপাতে নৌ পরিদর্শক পদে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের বিষয়টি প্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।বৈঠকে জানানো হয়, আগামী জুনের মধ্যে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের ড্রেজিং সম্পন্ন করা, ড্রেজিং সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে শ্যালা নদীতে নৌ চলাচলের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে এবং বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) সংশোধন আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাথে যৌথ সভা করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এছাড়া বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। উভয় প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।সভায় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা, মেরিন ক্যাডেটদের চাকুরীর বাজার সৃষ্টি ও নারী ক্যাডেটদের সরকারী জাহাজের পাশাপাশি দেশীয় বেসরকারী বাণিজ্যিক নৌবহরে নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্যাডেটদের জন্য বৃত্তি চালুর বিষয়ে বৈঠকে অবহিত করা হয়।কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান, মো: আব্দুল হাই, মো: নুরুল ইসলাম সুজন, এম আব্দুল লতিফ, মো: আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং মমতা বেগম এডভোকেট অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরএস
Advertisement