চিত্রনায়িকা হিসেবে শিমলার ব্যস্ততা একেবারে নেই বললেই চলে। হাতে মাত্র একটি ছবি। সেটি রুবেল আনুশ পরিচালিত ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। সম্প্রতি শেষে হয়েছে এই ছবির নির্মাণ কাজ। বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে এক সময়ের সাড়া জাগানো এই নায়িকা যদিও বলছেন, নায়িকা হিসেবেই টিকে থাকতে চান তিনি। সেজন্য আগের মত আবারো চলচ্চিত্রে নিজেকে মেলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিমলা মনে করেন, তিনি নিজে এখনো চলচ্চিত্রে কাজ করার উপযুক্ত। তার সমসাময়িক অনেকে হারিয়ে গেলেও তিনি নিয়মিত চলচ্চিত্রে কাজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এজন্য তার নজর কাড়া গ্ল্যামারও আছে।শিমলা বলেন, ‘কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। সে কারণে অনেকেই মনে করেন আমি হয়তো আবারো সেখানে চলে যাবো। কিন্তু না, আমি আগের মত চলচ্চিত্রের সঙ্গে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই। অনেকে আমার খোঁজ করেও শুনেছি পান না। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এফডিসিতে শিল্পী সমিতিতে অথবা পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ভাইয়ের কাছে আমার খোঁজ করলেই সব জানা যাবে।’গেল সপ্তাহে নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবির শেষ লটের কিছু অংশের কাজ নিয়ে নির্মাতা রুবেল আনুশ এবং অভিনেত্রী শিমলা একে অপরের মধ্যে নানা ধরনের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সব গোলমালের অবসান ঘটিয়ে ছবির কাজ করেছেন শিমলা।তিনি আরো বলেন, ‘রুবেল নির্মাতা হিসেবে তরুণ। তার অনেক কিছু শেখার আছে। আর একসঙ্গে কাজ করতে গেলে অনেক সময় বোঝাপড়া সঠিক না হওয়ায় ঝামেলা হয়। আমার এবং রুবেলের মধ্যে সেটাই হচ্ছে। তাছাড়া আমরা প্রযোজক সমিতিতে বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঝালেমা চুকিয়ে ফেলি। আশা করছি আগামীতে আবারো একসঙ্গে কাজ করা হবে।’বর্তমানে শিমলা ঢাকায় তার মায়ের সঙ্গে মগবাজারের বাসাতেই থাকেন। মায়ের সেবা-যত্ন করেই দিন কাটে এই অভিনেত্রীর। শিমলা বলেন, ‘আমার মা হচ্ছেন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। তার বয়স হয়েছে। সে কারণে একা চলতে পারেন না। আমি সবসময় আমার মায়ের সংস্পর্ষে থাকার চেষ্টা করি।’১৯৯৯ সালে ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রঙিন ভুবনে আসা শিমলা কয়েক বছর নিয়মিত অভিনয় করলেও ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন। এর কারণ হিসেবে শিমলা দায়ী করছেন চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার অনুপ্রবেশকে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ক্যারিয়ার শুরুর কয়েক বছরের মধ্যে দেখলাম চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ঢুকে গেছে। আমি তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে। এখন আমাদের ছবিগুলোতে অশ্লীলতা নেই। সে কারণে কাজের আগ্রহটা ফিরে এসেছে। আবারো ফুল এনার্জি নিয়ে সব ধরনের মানসম্মত ছবিতে কাজ করতে চাই।’আলাপকালে শিমলা জানান, তার প্রযোজনায় আসারও ইচ্ছে আছে। অনেক দিন আগে তার মায়ের প্রডাকশন হাউজ ‘জ্যোৎস্না’ থেকে ফুলি নামের একটি নাটক নির্মিত হয়েছিল। যেটি বিটিভিতে প্রচারে আসে। আগামীতে যদি ব্যাটে-বলে টাইমিং হয়, তবে সেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে টেলিছবি-চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। এনই/এলএ/আরআইপি
Advertisement