এক সময়ের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী ২০০০ সালে লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক মিলা হোসাইন। বেশ কিছু বিজ্ঞাপন দিয়ে তিনি আলোচনায় এসেছিলেন। বিজ্ঞাপন নির্মাতা রানা মাসুদের নির্দেশনায় ‘ডরিও বিস্কুট’র বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও আফজাল হোসেন, আব্দুন নূর তুষার, আনজাম মাসুদসহ বেশ ক`জন নির্মাতার নির্দেশনায় তিনি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। সর্বশেষ নয় বছর আগে মিলা সজলের সঙ্গে ফুজির একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছিলেন। কাজ করেছিলেন কিছু নাটকেও। কিন্তু হুট করেই মিলা ২০০৩ সাল থেকে বিয়ে করে নিউইয়র্কে সংসারী হন। তারকালোকের রঙিন জগৎ থেকে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন এই সুন্দরী। অভিনয়ের টানে আবারো ফিরেছিলেন সর্বশেষ ২০১৪ সালে। সে বছরের ডিসেম্বরে নুজহাত আলভী আহমেদের নির্দেশনায় নোবেল ও সজলের বিপরীতে ‘তারপর নদী’ এবং দীপান্বিতা ইতির রচনায় ‘পুনশ্চঃ ভালোবাসা’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। সবাই যখন ভাবছিলেন মিলা নিয়মিত হবেন অভিনয়ে তখন আবারো আমেরিকায় ডুব দেন তিনি। তবে নতুন খবর হলো আবারো দেশে ফিরে এসেছেন মিলা। গেল ১৮ আগস্ট আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। জানা গেছে, এবারের ঈদে বেশ কয়েকটি নাটক-টেলিফিল্মে দেখা যাবে মিলাকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদেশে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও দেশের জন্য মন কাঁদে। সুযোগ হলেই দেশে আসি সবার সঙ্গে দেখা করতে। এবারে এলাম এখানে ঈদ করবো বলে।’কাজ নিয়ে তিনি ফেসবুকে বলেন, ‘প্রতিবারই দেশে আসলে কিছু না কিছু কাজ করা হয়। এবারেও থাকছি ঈদের কিছু নাটকে। অনেকের সঙ্গেই কথা হচ্ছে।’মিলা জানান, এবারের সফরে তার সঙ্গে স্বামী জাকারিয়া মাসুদ জিকোও এসেছেন। জিকো আমেরিকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘আজকাল’-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক। মিলা সেই পত্রিকার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।মোজাম্মেল হোসেন ও মাহমুদা হোসেন দম্পতির আদরের কন্যা মিলা মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার মেয়ে। সংসার জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জননী। তার বড় পুত্র ইস আদিল এবং ছোট পুত্র শায়ান মাসুদ। এলএ/আরআইপি
Advertisement