দুনিয়ার জীবনে সব সময় মানুষের দুটি অবস্থা বিরাজ করে। একটি হলো আরাম ও স্বস্তি এবং অন্যটি হলো কষ্ট ও অস্বস্তি। মানুষ আরাম ও স্বস্তির সময় আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন এবং কষ্ট ও অসস্তির সময় ধৈর্য ধারণ ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নিকট সাহায্য কামনা করে থাকে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সর্বাবস্থায় তাঁর রহমত বরকত ও মাগফিরাত লাভের উদ্দেশ্যে নসিহত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য এবং নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ধৈর্যধারণকারীদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৩)পূর্ববর্তী আয়াতে শুকরিয়া ও তাঁর স্মরণের পর এ আয়াতে সুখ ও দুঃখ সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ এবং নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ কথার নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যারা নামাজে প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ তাআলা তাদের সঙ্গে থাকবেন।ধৈর্য ধারণ বলতে যা বুঝানো হয়েছে->> নফস বা আত্মাকে হারাম এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা;>> লোভনীয় তথা অবৈধ জিনিস প্রাপ্তি ও সাময়িক সুখ শান্তি ত্যাগে ধৈর্য ধারণ করা;>> দুনিয়ার যে কোনো বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা। অর্থাৎ দুনিয়াবি কাজ-কর্মে যে সকল বিপদ-আপদ আসে তা আল্লাহর তরফ থেকে পরীক্ষা হিসেবে মেনে নেয়া এবং এর বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদানের আশা করা।>> আল্লাহর নির্দেশনাবলী পালন করতে গিয়ে দুনিয়াতে যে কষ্টের বা দুঃখের সম্মুখীন হতে হয়, তা ধৈর্য ও সংযমের সাথে সহ্য করা। অর্থাৎ আল্লাহর পছন্দনীয় কর্ম সম্পাদনে দেহ ও আত্মায় যত কষ্টই অনুভব হোক না কেন; সর্বাবস্থায় আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ থেকে দূরে থাকা।পরিশেষে…এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যারা আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালনে ধৈর্যধারণ করবে এবং নামাজ আদায় করবে, তাদের সঙ্গে আল্লাহর সান্নিধ্য তথা ঐশ্বরিক শক্তির সমাবেশ ঘটবে। যেখানে যে অবস্থায় আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরি হবে; সেখানে দুনিয়ার কোনো শক্তি বা সংকট টিকতে পারবে না।ঈমানদার বান্দা যখন আল্লাহর শক্তিতে শক্তিমান হয়; তখন তার গতি-প্রকৃতি হয় অপ্রতিরোধ্য। ঈমানের পথে চলার গতি কেউ তখন রোধ করতে পারে না। তাই আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত সকল সময়ে ধৈর্য এবং নামাজের মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement