ব্রহ্মপুত্র নদের ঢলের পানির তোড়ে ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশে ভেসে আসা সেই হাতিটিকে উদ্ধারের জন্য আসা তিন সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি ফিরে যাচ্ছে। আগামীকাল সোমবার রাজধানী ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। ভারতীয় কর্মকর্তারা দেশে ফিরে গেলেও হাতিটি এখনো জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি নদীচর এলাকায় রয়েছে। হাতিটি দেখার জন্য সেখানে ভিড় করছে শত শত মানুষ। হাতিটি সংজ্ঞাহীন করে তাকে অন্যত্র নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।ভারতীয় কর্মকর্তাদের দলটির ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষের পথে, তাই তারা একদিন পরই দেশে ফিরে যাবেন। বাংলাদেশের বন কর্মকর্তারা বলছেন, এখন হাতিটি উদ্ধারের একটি বিকল্প পরিকল্পনা করছেন তারা। ঘটনাস্থলে থাকা বন বিভাগের কর্মকর্তা অসীম মল্লিক বলেন, হাতিটি উদ্ধারের চেষ্টায় কেন এখনো তারা সাফল্য পাচ্ছেন না?তিনি বলেন, সেখানকার উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে বন্যহাতিটি কখনোই পানি থেকে উঁচু ডাঙ্গায় উঠতে পারছে না। এ কারণেই হাতিটি উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা বন্যহাতিকে পানিতে ট্রাঙ্কুলাইজার দেয়া হলে তাকে জীবিত উদ্ধার করা যাবে না। সে পানিতে পড়ে যাবে। লোকজন এমনভাবে হাতির চারপাশে ভিড় করছে যে হাতি কূলে উঠতে পারছে না। কাজও এগোচ্ছে না। অসীম মল্লিক বলেন, জেলা প্রশাসকসহ সবাই মিলে উদ্যোগ নেয়া হলেও আশপাশ থেকে মানুষ আসা ঠেকানো যাচ্ছে না। এখন বিকল্প পরিকল্পনা করছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।হাতিটি এখন পানিতেই অবস্থান করছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি নদীচর এলাকায়। হাতিটি দিনের বেলায় পানিতে থাকে, রাতের বেলায় উঁচু জায়গায় চলে আসে। তাই এখন রাতে অভিযান চালানোর কথা ভাবছেন কর্মকর্তারা।এসআইএস/পিআর
Advertisement