সরকারি কোটার অপূরণকৃত ৪ হাজার ৮শ’ হজ গমনেচ্ছুর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে পাঠানোর ব্যাপারে সৌদি সরকারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। দুই দেশের হজসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দফা চিঠি চালাচালির পর অবশেষে ২ আগস্ট সৌদি সরকারের অনাপত্তিপত্র পাওয়া যায়। নিবন্ধনসহ হজ সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বেসরকারি এজেন্সিসমূহকে মাত্র দুদিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, সৌদি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে আসন্ন হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী হজ করতে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৪৮৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি সরকার। ইলেকট্রনিক (ই) হজ পদ্ধতিতে প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি হজ গমনেচ্ছু। পরবর্তীতে প্রাক-নিবন্ধিতদের মধ্যে থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ হলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৮০০ হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয় সরকারি ব্যবস্থাপনায় অপূরণকৃত ৪ হাজার ৮০০ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সৌদি সরকারকে চিঠি দেয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ-২) আজ এক চিঠিতে আগামী ৭ ও ৮ আগস্টের মধ্যে প্রাক-নিবন্ধিত হয়ে হজ গমনেচ্ছুদের সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৪৮৩ এজেন্সির মধ্যে যেগুলোর মাধ্যমে এখনো হজযাত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ও পাঠানো সম্ভব তাদের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্নের অনুরোধ জানানো হয়।জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুসরণ করে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক ৮৮ হাজার ২৩৭ থেকে ৯৩ হাজার ২৩৬ অনুসরণ করা হবে। কোনোক্রমেই সময় বৃদ্ধি করা হবে না। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে এজেন্সিগুলোর আগ্রহ নেই বলে ধরে নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে নিবন্ধন ক্রম অনুসারে ৪ হাজার ৮০০ কোটা পূরণ না হলে আগ্রহীদের মধ্যে থেকে নিবন্ধনের মাধ্যমে কোটা পূরণ করা হবে। হজ এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার গত সপ্তাহে জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, এখন পর্যন্ত সৌদি সরকারের অনাপত্তি না পাওয়ায় বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ করা সম্ভব হবে না। এমইউ/এসএইচএস/এবিএস
Advertisement