বড় ছেলেকে ‘উচ্চশিক্ষার’ জন্য গ্রাম্য মাতব্বরের মাধ্যমে শহরে পাঠিয়েছেন বাবা। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে যায়। ছেলে বাড়িতেও ফেরে না, কোনো যোগাযোগও করে না। একদিন সেই মাতব্বরকে পেয়ে ছেলের বিষয়ে জানতে চান বাবা। মাতব্বর তাকে জানালেন, ছেলে ‘বৃহৎ জ্ঞান’ অর্জনে ব্যস্ত আছে, এখন সে বাড়ি ফিরতে পারবে না।হঠাৎ একদিন ইন্টারনেটে ছেলের ছবি দেখতে পেলেন বাবা। পুলিশ জঙ্গি হিসেবে তার ছবি প্রকাশ করেছে। নাটকটির শেষদৃশ্যে এসে ‘নিখোঁজ’ তরুণদের ঘরে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়।এটি মঞ্চনাটক ‘ইন্টারঘ্যাঁট’-এ কয়েকটি দৃশ্যের বর্ণনা। বর্তমান সময়ে আলোচিত এ রকম নানা ধরেনের বাস্তবতার সমন্বয়ে ‘ইন্টারঘ্যাঁট’ নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ মিনার সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে। এটি প্রযোজনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীনতম নাট্যসংগঠন অনুশীলন নাট্যদল। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মঞ্চস্থ কর্মশালাভিত্তিক এই নাটকটির পরিচালনায় ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় ভৌমিক।অনুশীলন নাট্যদলের সদস্যরা জাগো নিউজকে জানান, জঙ্গি তৎপরতাকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবেলার অংশ হিসেবেই জঙ্গিবাদবিরোধী এই নাটক মঞ্চস্থ করলেন তাঁরা।উপযুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চা, পড়াশোনা, খেলাধুলার সুযোগ না পেয়ে দেশের অনেক ছেলেমেয়ে জঙ্গিবাদের মতো পথ বেছে নিচ্ছে বলে নাটকটির মাধ্যমে বোঝানো হয়।নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিদা নাহার জুঁই, রায়হান উদ্দিন, হাসি চক্রবর্তী, খায়রুল ইসলাম, লেমন, সাজ্জাদ, অর্ক প্রমুখ।নাটক শেষে অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, জঙ্গিরা তাদের মতো করে নাশকতার চেষ্টা চালাবে, দেশবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নেবে। কিন্তু এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে কী করার আছে- তা এই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।মলয় ভৌমিক আরও জানান, শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হবে।রাশেদ রিন্টু/বিএ
Advertisement