ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই্ তিনি। তার নায়কত্বের দিনগুলোতে তিনি ছিলেন রুপালী পর্দায় জনপ্রিয় এক নাম। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার যুবকের চরিত্রে, প্রেমিকের চরিত্রে আজও হৃদয় নাড়া দেয়া এক অভিনেতা তিনি। অসংখ্য চলচ্চিত্রে তার সাবলীল অভিনয় কালজয়ী হয়ে আছে। অভিনয়ের বাইরে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও। বলছি চলচ্চিত্র অভিনেতা ফারুকের কথা। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে ঘরে বসেই কাটছে ফারুকের সময়। সর্বশেষ গেল ঈদে তাকে দেখা গিয়েছিলো একটি টিভি অনুষ্ঠানে। আবারো তিনি একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে হাজির হচ্ছেন। আর এবার তিনি ডাক পেয়েছেন বন্ধু প্রতিম সহযোদ্ধা অভিনেতা ও সংস্কৃতিমন্ত্রি আসাদুজ্জাম নূরের।দেশ টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘বেলা অবেলা সারাবেলা’। নূরের উপস্থাপনায় এখানে প্রতি পর্বে হাজির হন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। অনুষ্ঠানটির নতুন পর্বে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন ফারুক। এখানে ফারুকের কিছু কাজ, অবসরের ফুটেজসহ থাকছে তার কাছের মানুষদের মন্তব্যও। শনিবার রাত (৩০ জুলাই) ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে ‘বেলা অবেলা সারাবেলা’র এই পর্বটি। প্রসঙ্গত, এইচ আকবর নির্মিত ‘জলছবি’র মাধ্যমে ১৯৭১ সালে চলচ্চিত্র জীবন শুরু ফারুকের। পরে ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘আলোর মিছিল’ নামের দুটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র করে আলোচনায় আসেন। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন ‘সুজন-সখী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ ১৭০টিরও বেশি চলচ্চিত্র। ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।এলএ/এবিএস
Advertisement