মতামত

দেখে শুনে তবেই বাড়ি ভাড়া

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নানামুখি তৎপরতার কথা বলা হচ্ছে। বিশেষ করে জঙ্গিরা যাতে যেখানে সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে আস্তানা গড়তে না পারে সেজন্য সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাড়িওয়ালাদের কাছে ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল পুলিশ। এ সংক্রান্ত ফরমও দেওয়া হয়েছিল বাড়ির মালিকদের। কিন্তু সে সময় এটা নিয়ে সমালোচনা হলেও এখন তো দেখা যাচ্ছে বিষয়টি কতোটা জরুরি। কারণ ভাড়াটিয়াদের অপকর্মের দায় শেষ পর্যন্ত কিন্তু বাড়িওয়ালাদের ওপর গিয়েই চাপছে। গুলশানে হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিরা রাজধানীর বসুন্ধরায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকেই ঝিনাইদহেও মেস বাড়ি ভাড়া নিয়ে আস্তানা গেড়েছিল। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেয়ার অভিযোগে দুই বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলার সঙ্গে জড়িতরা বসুন্ধরায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তারা সেখানে বসে হামলার পরিকল্পনায়ও করে। এবং সেখান থেকে এসেই হামলায় অংশ নেয়। এ ধরনের ভয়ঙ্কর জঙ্গিরা যদি সহজেই বাড়িভাড়া পেয়ে যায় সেটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও  চরম হুমকি। কাজেই বাড়িভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। জঙ্গিবাদ একটি নতুন সমস্যা। বাংলাদেশের জন্য এক মহা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি একক কোনো সমস্যা নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ রুখতে হবে। বাড়িভাড়ার বিষয়টি সামনে চলে এসছে এই মুহূর্তে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা করা উচিত। মিথ্যে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে জঙ্গিরা আস্তানা গড়ে তুলবে, বোমার কারখানা বানাবে, অস্ত্রমজুদ রাখবে, হামলার পরিকল্পনা করবে, হামলা চালাবে-এটা হতে দেয়া যায় না।  ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা করা উচিত। পুলিশকেও এ ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে। তবে কোনো অবস্থায়ই যেন ভাড়াটিয়ার অধিকার ক্ষুণ্ণ না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।এইচআর/এমএস

Advertisement